ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছিনতাই চক্রের কবলে পড়ে সব খোয়ালো ইউটিউবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
ছিনতাই চক্রের কবলে পড়ে সব খোয়ালো ইউটিউবার

বরিশাল: বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীতে মাইক্রোবাস নিয়ে ছিনতাই করা এক চক্রের কবলে পড়েছেন মো. লালন ফকির নামে এক ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর (ইউটিউবার)।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার কাছেমাবাদ এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ছিনতাইকারীরা ওই ইউটিউবারের সঙ্গে থাকা নগদ লক্ষাধিক টাকা ও অর্ধ লাখেরও বেশি টাকা মূল্যের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

ছিনতাইয়ের শিকার মো. লালন ফকির বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এলাকার বাসিন্দা। বরিশাল নগরে মিডিয়া জোন নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার।

ভুক্তভোগী লালন ফকির জানান, ফরিদপুরে তার খালাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এলাকার এক ভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে রওনা দেন। তাদের সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এক লাখ টাকাও ছিল। মোটরসাইকেলে রওনা হওয়ায় হাত-পায়ের গার্ডসহ উভয়ের হেলমেটে ক্যামেরা সংযুক্ত ছিল।

লালন বলেন, আজ (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় আমরা গৌরনদীর কাছেমাবাদ লালব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার লাগানো সাদা রঙের মাইক্রোবাস এসে আমাদের চাপ দিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে গতিরোধে বাধ্য করে। আমরা মোটরসাইকেল থামানোর সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১১-৮০৬৮) থেকে লাঠিসোটা নিয়ে বেশ কয়েকজন নেমে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে সঙ্গে থাকা নগদ এক লাখ টাকা, একটি গো প্রো ১০ ব্রান্ডের ৫৫ হাজার টাকা দামের ক্যামেরা ও মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে চলে যায়।

ভুক্তভোগী ইউটিউবার বলেন, কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাটা ঘটিয়ে মাইক্রোবাসটি দ্রুত মাদারীপুরের দিকে চলে যায়।

কয়েকদনি আগে বামরাইল এলাকার মো. মনির নামে এক শিক্ষকও এই চক্রের খপ্পরে পড়েছিল জানিয়ে লালন বলেন, রাস্তার পাশ থেকে ওই শিক্ষককে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। মারধর করে সঙ্গে যা পেয়েছে নিয়ে চোখে মরিচ গুড়া দিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়েছে।

এদিকে, আজকের ঘটনায় মামলা করার উদ্দেশ্যে তিনি গৌরনদী মডেল থানার দিকে রওনা হয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী লালন ফকির।

এ বিষয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল মোল্লা বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা শুনি নাই। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গৌরনদীর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন বলেন, ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তিরা থানায় এসেছিল। তাদের লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এমএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।