ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় মোখা: সর্বোচ্চ সতর্কতায় চাঁদপুরের নদী উপকূল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সর্বোচ্চ সতর্কতায় চাঁদপুরের নদী উপকূল

চাঁদপুর: ঘূর্ণিঝড় মোখা পদ্মা-মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কা কোনোভাবেই কাটছে না চাঁদপুরের মতলব উত্তর থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের। যদিও এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়েনি চাঁদপুরে।

তবুও সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।  

তবে সর্বসাধারণকে মাইকিং করে সতর্ক করে দিচ্ছে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস অ্যাণ্ড সিভিল ডিফেন্স ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর শহরে, লঞ্চঘাটে মেঘনা ও পদ্মা উপকূলীয় এলাকায়, বড় স্টেশন মোলহেডে, জেলে পাড়ায় সরকারি এসব বাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

বিশেষ করে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেঘনা নদীর পশ্চিমে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বলাশিয়ার চর, ওই ইউনিয়নের জেলে পাড়ায় এবং শহর এলাকায় নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা মাইকিং করেন।

সদর উপজেলার রাজরাশ্বের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হজরত আলী বেপারী ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাল নিশান দিয়ে লোকজনকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশই ঘণীভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী চাঁদপুর জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে চাঁদপুরবাসীকে রক্ষার্থে ইতোমধ্যে চাঁদপুর মোহনা, বেদে পল্লি, মাছঘাট, জেলে পল্লি, লঞ্চঘাট এলাকায় কোস্টগার্ড কর্তৃক সচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

এছাড়াও মাছ ধরার ট্রলার জেলে পল্লিতে অবস্থানের জন্য কোস্টগার্ড কর্তৃক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড ঢাকা জোন কর্তৃক চাঁদপুরে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধনের জন্য জরুরি: ০১৭৬৯-৪৪১৯৯৯, ০১৭৬৯-৪৪১২১৯ (চাঁদপুর) নম্বরে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া হবে।

অপরদিকে চাঁদপুর শহর এলাকায় মাইকিং করে লোকদের সতর্ক করে দিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফেন্স। পাশাপাশি শহরের বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনায় যেন কোনো পর্যটক না আসে এবং নিরাপদে চলে যায় এসব বিষয়ে সতর্ক করে পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর মো. সফিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়।

নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর থেকে কোনো নৌযান ছাড়তে দেওয়া হয়নি। এমনকি চরাঞ্চলের ট্রলারগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা লোকজনকে সতর্ক করে এবং নিরাপদে থাকার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে যাতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।