ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভূমি দখলে অভিযুক্ত কৃষক লীগ নেতা, মানববন্ধনে ক্ষুব্ধ আ.লীগ নেতাকর্মীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
ভূমি দখলে অভিযুক্ত কৃষক লীগ নেতা, মানববন্ধনে ক্ষুব্ধ আ.লীগ নেতাকর্মীরা

 

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম ওরফে জেড আলমের বিরুদ্ধে অসহায়দের ভূমি জবরদখল ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।  

এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী।

এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে দখলবাজির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।  

বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  এতে অসহায় ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা অংশ গ্রহণ করেন।  

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, স্থানীয় আব্দুল বারেক নামের এক ব্যক্তি অসহায় আলাল উদ্দিনের কাছে ৪০ শতাংশ জমি বেচেন। কিন্তু ভুলবশত আলাল উদ্দিনের নামে প্রতিবেশী তাহের উদ্দিনের জমিসহ মোট ৯৬ শতাংশ জমি বিআরএস রেকর্ডভুক্ত হয়ে যায়। এনিয়ে তাহের উদ্দিন আদালতে মামলা দায়ের করলে তার পক্ষে ৫৬ শতাংশ জমির মালিকানার ডিক্রি জারি করেন বিচারক। ভুল রেকর্ডে দুই পক্ষের বিরোধের সুযোগে স্থানীয় এক ভূমিদস্যু একটি ভুয়া দলিল দিয়ে এই জমিটি কিনেছেন বলে এলাকায় প্রচার করে। কিন্তু রেজিস্ট্রি অফিসে যাচাই-বাছাইয়ে ওই ভূমিদস্যুর দলিলটি ভুয়া প্রমাণিত হয়।  

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এই অবস্থায় ওই জমিটি এখন নিজের বলে দাবি করে জবরদখলের চেষ্টা করছেন জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম। কিন্তু তার এই দখলবাজিতে বাধা দেওয়ায় প্রকৃত ভূমি মালিকদের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় হয়রানি করছেন প্রভাবশালী এই নেতা।        

এ ঘটনায় কৃষ কলীগ নেতাসহ সংশ্লিষ্ট এই ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন মানববন্ধনে উপস্থিত মহানগর কৃষক লীগের সদস্য সুজাদুল হক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মিন্টু, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুরুন্নবী, আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম সাকিব ও ৩১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হকসহ এলাকাবাসী।  

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম বলেন, আমি কারও জমি জোরপূর্বক দখল করিনি। সঠিক কাগজপত্র দেখে জমি কিনেছি। দলিল ভুয়া হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তারা মিথ্যা বলছে।

মানববন্ধন ও কৃষক লীগ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি নিয়ে দুই পক্ষে বিরোধ রয়েছে। দুই পক্ষই নিজের দলিল সঠিক বলে দাবি করছে। এই অবস্থায় দুই পক্ষকে শান্তি বজায়ে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালত প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০,  ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।