ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে পাটকল শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণ-হত্যা, ৫ জনের ফাঁসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
ফরিদপুরে পাটকল শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণ-হত্যা, ৫ জনের ফাঁসি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলায় এক পাটকল শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টায় ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিুজর রহমান এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় সব আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাদের পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চুন্নু সিকদার (৩২), মো. নাজমুল হোসেন তেবেজ (৩৬), ইসলাম মীর (৩৬), আতিয়ার মোল্যা (৪৬) ও মো. নাছির খান নয়ন (৪৪)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ফরিদপুরেট মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ফরিদপুরে মধুখালী উপজেলার রাজধরপুর প্রাইড জুট মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে ওভারটাইম ডিউটি করে মিল থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বের হন তিনি। পথে নছিমন চালক চুন্নু সিকদার প্রথমে তাকে রাজধরপুর বাবু মিলিটারির কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণ করতে দেখে ফেলায় তেবেজ, ইসলাম মীর, আতিয়ার ও নাছিরও পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। শেষে এ ঘটনা ভিকটিম কাউকে বলে দিলে তাদের মানহানি হবে ভেবে সবাই মিলে তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে কলা বাগানে ফেলে রেখে যান।

ঘটনার পরেরদিন সকালে স্থানীয়রা কলাবাগানে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

হত্যার ঘটনার পরের দিন (১৬ অক্টোবর) ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মুধখালী থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

পরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী ও সাইফুল আলম ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখে মোবাইলের কল লিস্ট যাচাই-বাছাই শেষে ওই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ দেখে তাদের বিরুদ্ধে আনা অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এ জন্য আদালত প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এ মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার পাল বলেন, আসামিরা প্রত্যেকে নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আসামি নয়ন ভিকটিমকে হত্যার পরেও ধর্ষণ করেছিলেন বলে জানান। আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩) ধারাসহ ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এতে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।