ঢাকা, শনিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

টম ল্যানটস কমিশনের আলোচনায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছিল না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৮, আগস্ট ২০, ২০২৩
টম ল্যানটস কমিশনের আলোচনায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছিল না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের  মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যে আলোচনা করেছে, সেখানে কংগ্রেসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস নোটে এ তথ্য জানায়।

প্রেস নোটে বলা হয়, টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন থেকে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার: একটি আপডেট’ শিরোনামে গত ১৫ আগস্ট মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে সম্প্রতি কিছু মিডিয়ায় প্রতিবেদন আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তবে পরীক্ষা  করে দেখা যায়, মার্কিন কংগ্রেস, হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ (প্রতিনিধি পরিষদ), সিনেটে বা কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিক কমিটিতে এমন কোনো আলোচনা হয়নি।

২০২৩ কংগ্রেসনাল ক্যালেন্ডার অনুসারে কংগ্রেস (উভয় সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ) ২৮ জুলাই থেকে অবকাশে রয়েছে। অবকাশের পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সিনেট অধিবেশন শুরু হবে। আর প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় আহ্বান করা হবে। বেশির ভাগ সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যান অবকাশের সময় তাদের নির্বাচনী এলাকায় যান। যাই হোক গত ১৫ আগস্ট, ‘টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন’ থেকে জুমের মাধ্যমে একটি ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিং সেশনের আয়োজন করা হয়েছিল।

সেশনে চারটি প্রতিষ্ঠানের চারজন প্যানেলিস্ট লিখিত বক্তব্য পেশ করেছে। এই চারটি প্রতিষ্ঠান হলো—(১) এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন অ্যান্ড এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার, (২) রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস (৩) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, (৪) ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট।

প্যানেলিস্টদের কংগ্রেসের জন্য সুপারিশ দেওয়ার কথা ছিল। যদিও অনুষ্ঠানটি টম ল্যান্টোস কমিশনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। এখানে মার্কিন কংগ্রেসের কোনো সদস্য তাদের উপস্থিতি বা কোনো বিবৃতি, মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণ করেননি। আয়োজকরা বাংলাদেশ সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্যানেলিস্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও নিবন্ধনের সময় ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি অনুমোদিত ছিল। প্যানেলিস্টদের মতামতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও স্পষ্ট করার জন্য মডারেটরের কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত সেগুলোকে আমলে নেওয়া হয়নি। তবে মডারেটর এবং প্যানেলিস্টরা তাদের পছন্দের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, কয়েকজন প্যানেলিস্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অপ্রমাণিত তথ্য দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেছিলেন। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টা করেছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস নোটে আরও বল হয়, এই আয়োজন হয়েছিল ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবসে—যখন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের ১৮ সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে নিকৃষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছিল। কেন এমন আলোচনার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিলেন আয়োজকরা, তা বোঝা গেল না। সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য প্রচারের যে কোনো ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, টম ল্যানটস কমিশন হলো একটি দ্বি-দলীয় সত্তা, যা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে উৎসাহিত করে। এটির কোনো আইনি কর্তৃত্ব নেই বা আইন প্রণয়নের কোনো এখতিয়ার নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।