ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এমটিএফই’র অভিযোগ এসেছে, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে: মোস্তাফা জব্বার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এমটিএফই’র অভিযোগ এসেছে, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে: মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: অনলাইন অ্যাপ মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জের (এমটিএফই) মাধ্যমে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা ও অবৈধ এবং যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেন বিষয়ক সভা শেষে তিনি একথা বলেন।

এমটিএফই'র মাধ্যমে বিনিয়োগ করে দেশের মানুষ কয়েকশ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা যেটা বুঝি, এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ, তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে বলে আমরা জানি। সে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে। কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। এ সম্পর্কে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তারা নেবে। আমরা জেনেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

মোস্তফা জব্বার বলেন, এটি স্পষ্ট যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ না। কেউ যদি এটিতে লেনদেন করে থাকেন, সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ।

তিনি বলেন, যখনই কারেন্সির (মুদ্রা) প্রশ্ন আসে, এটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কারেন্সির আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে লেনদেনসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আমরা যারা ডিজিটাল দুনিয়াতে কাজ করি, এটা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি আসার পর থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, আপনারা কী করেছেন? এটির বিষয়ে একটু বোঝার চেষ্টা করেন, ডিজিটাল দুনিয়াতে একটা অ্যাপ চলা, এটা এমন কোনো ঘটনা না যে, অ্যাপ চলছে, আমি তাতে সমস্ত মনোযোগ দিয়ে বসে থাকবো। আপনারা জেনে অবাক হবেন, গতকাল বা আগের দিন পুলিশের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত তো কোনো অভিযোগ আসেনি। যে কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দরকার পড়লে প্রথমে থাকতে হবে অভিযোগ, তারপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্ন আসে। একটা চ্যালেঞ্জ হলো, এটি আমাদের ফিজিক্যাল (বাস্তব) দুনিয়ার মতো না যে, অপরাধ হচ্ছে, সেই অপরাধ কেবল আমার সীমার মধ্যেই হচ্ছে এবং ভৌগোলিকভাবে আমরা চিহ্নিত করতে পারছি। যে অপরাধের কথা বলেন আপনারা, তা দেশের ভেতর থেকে হয়নি। আবার দেশের লোকজন তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, অ্যাপটি যদি দুবাইতেও চলে থাকে, কিন্তু যারা টাকা দিয়েছে বা অংশগ্রহণ করেছে, তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে করেছে। এটা তো ডিজিটাল দুনিয়ার স্বাভাবিক নিয়ম। কে কোথায় আছেন, এটা সম্পর্কিত বিষয় না। লেনদেন করা দরকার, তারা তা করতে পারছে।

প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনের মোট পরিমাণ কতো এমন প্রশ্নের জাবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ মুহূর্তে মিডিয়াতে যা দেখেছেন, তার সবাই আন্দাজ। প্রকৃত তথ্য আমার কাছে পাওয়ার কথা না। আর্থিক বিষয়গুলোর তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।