ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ের দায়িত্বে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর   

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ের দায়িত্বে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর   

ঢাকা: রাজনৈতিক দলের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটনোর প্রবণতা রয়েছে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এটা রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমানকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মোজাম্মেল হক বলেন, অবৈধ অস্ত্র, নাশকতামূলক কাজ, ধর্মীয় উস্কানি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার প্রবণতা কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে যাতে সব সময় সতর্ক থাকা যায়, অঘটন ঘটাতে যাতে না পারে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে সব সময় সচেতন থাকতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন বাহিনী সমন্বয় করার জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাহিনীগুলোর এ সমস্ত কাজ উনি সমন্বয় করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরাও সেখানে থাকবেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার প্রচেষ্টা যদি থাকে তবে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বসে সেসব বিষয় পর্যালোচনা করে কি করা যায়, সে বিষয়ে সমন্বয় করবেন। মূল দায়িত্ব তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর আছেই।

বর্তমান রজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার উদ্বিগ্ন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান রজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন না। গণতান্ত্রিক অধিকার মতো যে যার কাজ করছে। সরকারের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। রাজনৈতিক কাজে কোনো বাধা নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি ছাড়া প্রত্যেক দল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে, সরকার কারো কাজেই বাধা দেয় না, দেবে না। যার যার দল কর্মসূচি নিয়ে সভা-সমিতি নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে। যদি না জনজীবন অচল করার প্রচেষ্টা করে।  

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দল বুঝবে। কোনো দলকে নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নয়। উনাদের দায়িত্ব সার্বিকভাবে জনগণের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে। আমি মনে করি আমাদের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের থেকে বেশি।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুসারে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা ইলেকশনের শিডিউল ঘোষণা করবেন। এরপর সরকারের কার্যক্রম নতুন কোনো পরিকল্পনা নিতে পারে না, শুধু রুটিন ওয়ার্ক করে যায়। অন্তবর্তীকালন সরকার হিসেবে কাজ করে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে সব কিছু থাকে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা করবে, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করার তা পালন করবে। ভোটের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু থাকে সেটি নিশ্চিত করার জন্য সচেতন থাকবে।

একটি দল নির্বাচন বর্জন করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কিনা, এ প্রশ্নে মোজাম্মেল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা জনগণের জন্য, কোনো দলের জন্য নয়। তারা সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন।


বাংলাদেশ সময় : ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮,২০২৩
জিসিজি/ এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।