ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সৌদি নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
সৌদি নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার ৪

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় সৌদি আরবের এক নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

শনিবার (০২ ডিসেম্বর) রাতে শহরে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন, কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকার আবুল ফয়েজের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু (১৬), মো. ইউসুফের ছেলে আবির হোসেন সান (২৩), মনির হোসেনের ছেলে মো. আবির (১৯), সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোসাইদুল ইসলাম সামাদ (১৮)। এ সময় ছিনতাইকালে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে সাড়ে ১১টায় শহরের কলাতলীর হোটেল ওশান প্যারাডাইস সংলগ্ন সড়কে মোটরসাইকেলযোগে ছয়জন এসে সৌদি আরবের নাগরিক হুদাইবি খালিদ মোহাম্মদ এবং তার সৌদি প্রবাসী মো. রাকিব শেখকে গতিরোধ করে। এ সময় হুদাইবি খালিদ মোহাম্মদকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন,  নগদ ৫০০ রিয়াল এবং বাংলাদেশি সাড়ে তিন হাজার টাকা, এনআইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আহত সৌদি নাগরিককে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করেন। এ ঘটনায় মো. রাকিব শেখ বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আপেল মাহমুদ জানান, মামলাটি তদন্ত কার্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেওয়ার পর নানা কৌশলে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে। এরপর শনিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অপর দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারের মধ্যে মেহেদী হাসান বাবু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর তিনজনকে আদালতে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আপেল মাহমুদ বলেন, কক্সবাজার শহরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৭-৮টি গ্রুপকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে। একই সঙ্গে ছিনতাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্পটও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।