ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্যামনগরে নির্বাচন-পরবর্তী স‌হিংসতায় আহত ১১

‌ডি‌স্ট্রিক্ট ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
শ্যামনগরে নির্বাচন-পরবর্তী স‌হিংসতায় আহত ১১

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নির্বাচন-প‌রবর্তী সংঘর্ষে দুইপক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার (৮ জনুয়ারি) রা‌তে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া এলাকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মাস্টার আব্দুর রহিম গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামের আব্দুর নুর (৪৫), আলমগীর (৩৮), পারভীন (৪০), শামসুদ্দিন গাজী (৭০), আলতাফ হোসেন (৩৫), ফজিলা (৪০), শরিফা (৩০), ওয়াজেদ (৫৫), মহিদুল সরদার (৪৮), আবদুল্লাহ (৩০) ও মোস্তফা (৪৫)।

আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পা‌ঠি‌য়ে‌ছেন। বাকিদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গাবুরার স্থানীয় হুদা মালি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস.এম আতাউল হক দোলন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হলে সোমবার সকালে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম মিজানুর রহমান শ্যামনগরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে যায়। এ সময় রহিম মাস্টারের সমর্থকরা মিজানকে উদ্দেশ্য করে নৌকার পক্ষে কাজ না করায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে মিজান প্রতিবাদ করতে গেলে রহিম মাস্টা‌রের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রনি মিজানকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ সময় মিজান ও আমিনুর রহমানকেও মারধর করা হয়। ওই ঘটনার জেরে মিজানের সমর্থকরা এলাকায় ফিরে রহিম মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ও ভাঙচুর ক‌রেন। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ‌তে উভয়প‌ক্ষের ১১ জন আহত হয়।

খবর পে‌য়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এস.এম আতাউল হক দোলন হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসারত‌দের দেখ‌তে গি‌য়ে গণমাধ্যম‌কে ব‌লেন, অপরাধী যেই হোক তা‌কে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসন‌কে ব‌লে‌ছি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।  পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।