ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পৌনে ছয় লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএনসিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
পৌনে ছয় লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএনসিসি

ঢাকা: ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

শনিবার (১ জুন) উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের ১৯০৪ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ+ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোয় ক্যাম্পেইন চলবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

তিনি বলেন, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি। ভিটামিন-এ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দুবার ভিটামিন-এ’র অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১ জুন সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের একটি নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এই ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের পক্ষে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকেই ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ভিজিলেন্স টিম নিয়োজিত থাকবেন।

উত্তর সিটি কর্পোরেশন জানায়, এবারের ক্যাম্পেইনে মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সের শিশুর ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮৮ ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭৯ শিশু। এ কার্যক্রমটি মোট ১ হাজার ৯০৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ কাজ পরিচালনা করতে স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্যসেবী হিসেবে ৩ হাজার ৮০৮ জন নিয়োজিত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।