ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নবীন নাবিকরা স্মার্ট নৌবাহিনী গড়তে ভূমিকা রাখছে: নৌবাহিনী প্রধান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৪
নবীন নাবিকরা স্মার্ট নৌবাহিনী গড়তে ভূমিকা রাখছে: নৌবাহিনী প্রধান

পটুয়াখালী: নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও আধুনিক সামরিক প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে নবীন নাবিকরা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নৌবাহিনী গঠনে ভূমিকা রাখছে। বিস্তীর্ণ সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব সার্বিক নিরাপত্তা এবং সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণে ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) সকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২৪ সালের এ ব্যাচের ৪৩৮ জন নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পটুয়াখালী কলাপাড়ায় বানৌজা শেরে-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে এ প্যারেড ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্র সম্পদ, গভীর সমুদ্র বন্দর, বাণিজ্যিক জাহাজ, মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকার নিরাপত্তা এবং জরুরি প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নবীন নাবিকরা বংলাদেশের সুমুদ্রসীমার নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।  

প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ৪ নবীন নাবিককে পুরষ্কৃত করেন অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

নৌবাহিনীর এ/২০২৪ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. সাইফুর রহমান সাইফ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করেন। মো. আল আবি হুসাম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ ও মোহাম্মদ শাহরিয়ার তৃতীয় হয়ে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ এবং মারিয়া আক্তার ‘প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার পদক’ লাভ করেন।

এসময় নবীন নাবিকরা জাতীয় পতাকা আঁকড়ে ধরে দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা এবং রাষ্ট্রপতির প্রতি আনুগত্য পোষণের শপথ গ্রহণ করে।

এরপর ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ পটুয়াখালী’ - এর উদ্বোধন ও বৃক্ষ রোপণ করেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

এসময় নৌপ্রধান বলেন, বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলাবোধ, সময় উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ও দক্ষ শিক্ষকের নিবিড় সান্নিধ্যে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। অত্যাধুনিক এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, প্রশস্ত খেলার মাঠ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, বিএনসিসি কার্যক্রম, নৌ স্কাউট, ক্যান্টিন এবং নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এমন কল্যাণকর উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ অত্যন্ত আনন্দিত। তারা মনে করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘের সভাপতি সাদিয়া সুলতানাসহ অন্যান্যের মধ্যে সহকারী নৌপ্রধান খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার এবং পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৪
এসএএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।