ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাকে নির্যাতনের অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূ কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪
মাকে নির্যাতনের অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূ কারাগারে  শুভ বসু ও তার স্ত্রী জ্যোতি মৃধা।

বরগুনা: বরগুনার বেতাগীতে মা রীতা রানী বসুকে (৫৫) অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্তদের আদালতে উপস্থিত করা হলে তাদের জেল হাজতে পাঠান বিচারক।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শুভ বসু ও তার স্ত্রী জ্যোতি মৃধাসহ চারজনের নামে বেতাগী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রীতা রানী বসুর ছোট ছেলে শোভন বসু।  

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জ্যোতি মৃধার মা নীলা রানী মৃধা এবং বাবা সুভাষ মৃধা।

নির্যাতনের শিকার ওই নারীর নাম রীতা রানী বসু (৫৫)। তিনি বেতাগী পৌরশহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত. শিবু লাল বসুর স্ত্রী।  

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেতাগী থানা পুলিশ জানায়, বেতাগী থানার উপ-পরিদর্শক চাঁদ মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে পুত্রবধূ জ্যোতির বোনের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামীণ ব্যাংক রোড এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।  

রীতা রানী বসুর স্বামী দুই বছর আগে মারা যান। তার দুই ছেলে রয়েছে। তবে তিনি বড় ছেলে শুভ বসু ও তার স্ত্রী জ্যোতি মৃধার সঙ্গেই থাকতেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।  

একাধিক প্রতিবেশীরা জানায়, রীতা রানীর স্বামী শিবু লাল বসু মারা যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে বড় ছেলে শুভ বসু ও তার স্ত্রী জোটবদ্ধ হয়ে মা রীতা রানীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে জমির দলিল ও স্বর্ণালংকার চাইলে শাশুড়ির সঙ্গে পুত্রবধূ জ্যোতি মৃধার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ছেলে ও পুত্রবধূ মিলে বৃদ্ধাকে মারধর করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রীতা রানীর ছোট ছেলে শোভন বসুকে খবর দেয়। ছেলে শোভন বসু এসে মাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শোভন বসু অভিযোগ করেন, বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমার বড় ভাই এবং তার স্ত্রী মিলে বাবার জমি তাদের নিজেদের নামে লিখে নিতে এবং স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করতে চেষ্টা করে আসছিলেন। এ কারণে আমার মাকে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাত তুলে নির্যাতন করতেন তারা। কিন্তু পরিবারে অশান্তি তৈরি হবে ভেবে আমার মা কখনও আমাকে এসব বিষয় জানায়নি।

তিনি আরও বলেন, এবার তারা মাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। তা সইতে না পেরে মা আমাকে সব কথা বলে দেয়। তাই আমি বাধ্য হয়েই আমার মায়ের নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।