ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুবিতে প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করলেন প্রফেসর রেজাউল করিম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
খুবিতে প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করলেন প্রফেসর রেজাউল করিম

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে জিএসটি গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রাথমিক ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের সাধারণ মেধা তালিকা থেকে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম রোববার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া কোটা থেকে ভর্তি কার্যক্রম আগামীকাল ০৮ অক্টোবর শুরু হবে।

চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।

এদিকে সোমবার (০৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবনে প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। এ সময় তিনি ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবসময় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। এখানে ছাত্ররাজনীতি ও সেশনজট না থাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় না। শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার সাঙ্গেই শিক্ষা ও গবেষণা করতে পারে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ ও তাদের প্রতিভা বিকাশের জন্য শিক্ষার্থীদের অনেক ক্লাব ও সংগঠন রয়েছে। এসব ক্লাব ও সংগঠনের ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ইভেন্টে অংশ নিয়ে তারা নিজেদের বিকশিত করতে পারে।

নড়াইল থেকে ভর্তি হতে আসা সোহাগ ঘোষ ও ফরিদপুর থেকে আসা তাসনিম খানম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া আমাদের স্বপ্ন ছিল। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সবসময় চমৎকার। এখানে এসে ক্যাম্পাস দেখে আমরা বিমোহিত। এত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস সত্যিই প্রশংসনীয়।

পিরোজপুর থেকে মো. ফজলুল হক ও বরিশাল থেকে আসা নিমাই দাস নামের দুই অভিভাবক বলেন, ছাত্ররাজনীতি না থাকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ। এত বড় আন্দোলন হয়ে গেল, তাতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে হানাহানি-রক্তপাত হলেও এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছিল ব্যতিক্রম। এখানকার শিক্ষকমণ্ডলী মানসম্পন্ন। তারা শিক্ষার্থীবান্ধব। তাই অভিভাবক হিসেবে এটি আমাদের প্রথম পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. শামীম আহসান, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একাডেমিক-১ শাখা প্রধান উপ-রেজিস্ট্রার শেখ সিরাজুল ইসলাম, একাডেমিক-২ শাখা প্রধান উপ-রেজিস্ট্রার কাকলি রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭ , ২০২৪
এমআরএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।