ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব: ইনানীতে ভেঙে পড়ল নৌবাহিনীর জেটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪১, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব: ইনানীতে ভেঙে পড়ল নৌবাহিনীর জেটি

কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাবে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে নৌবাহিনীর নির্মিত জেটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।

বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে একটি বার্জের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে জেটি ভেঙে যাওয়ায় চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।


উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   

তিনি জানান, কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তা বিস্তারিত জানতে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। বুধবার মধ্যরাতের পর ছিল পূর্ণ জোয়ার। এ সময় ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় জেটির সঙ্গে বেঁধে সংস্কার কাজে ব্যবহৃত একটি ছোট বার্জের ধাক্কায় জেটিটি ভেঙে গেছে। এতে জেটিটির বড় একটি অংশ ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

ইনানী জেটিঘাট এলাকার চা দোকানি আব্দুল মাজেদ বলেন, বার্জটি জেটির সঙ্গে বেঁধে রাখায় মধ্যরাত থেকে বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এ সময় কেউ জেটিতে এবং বার্জে ছিল না।
এমনকি রাত ২ থেকে ৩টার দিকে জেটি ভেঙে যাওয়ার পরও সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো লোককে জেটির আশেপাশে দেখা যায়নি।

জেটি সংলগ্ন তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের বৈদ্যুতিক শাখার একজন কর্মী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ছোট আকারের তিনটি নৌযান জেটিতে কি জানি কাজ করছিল। এসব নৌযানগুলো সরিয়ে না রাখার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি।

শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়া অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী জেটিটি নির্মাণ করেছিল। এটি দীর্ঘ সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে নির্মাণের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল পরিবেশবাদীরা।

এমনকি ২০২২ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছিলেন জেটি অপসারণের জন্য।

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আনম হেলাল উদ্দিন জানান, আদালতের রুল জারির পরেও জেটি অপসারণ করা হয়নি।  

এদিকে গত বছর থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ আসা যাওয়া করছিল ওই জেটি দিয়ে। আগামী ১ নভেম্বর থেকেও জেটি দিয়ে দ্বীপে যাতায়াতের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল জাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।