ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধানক্ষেতে মিলল শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
ধানক্ষেতে মিলল শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ

নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ধানক্ষেত থেকে হামিদা খানম (৬) নামে একটি শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 

হামিদা একই গ্রামের সাহানুর শেখের মেয়ে।  

শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে হত্যার হুমকি দেওয়া একটি চিরকুট পেয়েছিল শিশুটির পরিবার।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হামিদার মা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে ছিলেন। এরপর হামিদা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়। পরে বিকেল থেকে বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির উত্তর পাশের ধানক্ষেতে হামিদার হাত বাঁধা মরদেহ পাওয়া যায।  

এসময় রশি দিয়ে তার হাত বাঁধা এবং কচুরিপানা দিয়ে মরদেহের কিছু অংশ ঢাকা ছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

হামিদার বাবা সাহানুর জানান, বুধবার রাতে কেউ তাদের বাড়ির পাশে একটি চিরকুট ফেলে যায়। হুমকি দেওয়া ওই চিরকুটে লেখা ছিল, ‘তোরা যদি খুদ চালান দিস তাহলে মনে রাখবি, তোর সন্তানদের মধ্যে একজনকে হারাবি বা তোর ভাইয়ের মেয়েকে। এটা আমার শেষ কথা। ’ চিঠির শেষে হামিদা খানম ও তার বোন শামিমা আক্তারের নাম লেখা ছিল।  

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমাদের বাড়িতে কয়েকবার আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে খুদ চালান (কবিরাজের মাধ্যমে মন্ত্র পড়ে চালের খুদ খেতে দেওয়া) দেওয়ার কথা প্রচার করেছিলাম। এ ভয়ে কেউ হামিদাকে হত্যা করেছে।

এ ব্যাপারে নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।