ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কাজ শেষ না করেই পালিয়েছে ঠিকাদার, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
কাজ শেষ না করেই পালিয়েছে ঠিকাদার, দুর্ভোগে এলাকাবাসী অসমাপ্ত সেতু

ঠাকুরগাঁও: শেষ হয়নি সেতু এবং সংযোগ সড়কের কাজ। এ কারণে সেতু পারাপারের জন্য দুই পাশে তৈরি করা হয়েছে কাঠের মই।

সেই মইয়ের অধিকাংশ কাঠ আবার ভেঙে গেছে।  এর কারণে সেতুটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেড়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা এবং এলাকার মানুষের ভোগান্তি। দ্রুত কাজ শেষ করে ভোগান্তি থেকে মুক্তি চায় গ্রামবাসী।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া গ্রামে কাজ শুরু হয় সেতুটির। গত বছরের শুরুতে সেতুর কাজের গতি থাকলেও গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্ধ রয়েছে কাজ। সেতু তৈরির কাজে ব্যবহৃত মালামাল রেখে পালিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চার গ্রামের কয়েকশ মানুষকে। হেঁটে রাস্তা পারাপার, যানবাহন, কৃষি জমির ফসল, বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে ঘটছে নানা ধরনের সমস্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীর। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত, কৃষি জমির ফসল পরিবহনসহ ব্যাঘাত ঘটছে দৈনিক কাজেরও। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করে ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

পথচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমরা আশপাশের সব মানুষ যাতায়াত করে থাকি। শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। অথচ সেতুটির কারণে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কৃষক নিশিকান্ত বলেন, আলুর আবাদ করেছি। বীজের আলু ভ্যানে করে নিয়ে যেতে হয়। আবাদের সময় সার-কীটনাশক নিয়ে যেতে হয়। আমরা এসব ভ্যানে নিয়ে যেতে পারছি না। তারা কাজটা এমনভাবে রেখে পালিয়েছে না শুরু না শেষ। আর দুই পাশে কাঠ দিয়ে পারাপারের যে  রাস্তা তৈরি করা হয়েছে তা আরও ভয়ানক। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্কুল শিক্ষার্থী সুভাষ চন্দ্র বলে, প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। বাধ্য হয়ে নিচ দিয়ে নেমে সেতুর আরেক পাশে উঠতে হয়। বর্ষার সময় কখনো কখনো তো বইপত্র ভিজে যায়। সেতুটির কাজ শেষ করলে যাতায়াতে আমাদের সুবিধা হত।

১৭ নম্বর জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রহমত আলী বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা হলে সেতুটির বিষয়ে অভিযোগ দেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কাজে আসেনি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাসেল পরিবহনের লোকজনের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু শোয়েব খান বলেন, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কাজ শেষ করার মেয়াদ রয়েছে প্রকল্পটির। যেন তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করা যায় সেজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।