ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বেক্সিমকোর বন্ধ প্রতিষ্ঠান পুনরায় কে চালু করবে প্রশ্ন শ্রম উপদেষ্টার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
বেক্সিমকোর বন্ধ প্রতিষ্ঠান পুনরায় কে চালু করবে প্রশ্ন শ্রম উপদেষ্টার বক্তব্য দিচ্ছে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন

ঢাকা: বর্তমান অবস্থায় বেক্সিমকোর বন্ধ প্রতিষ্ঠান পুনরায় কে চালু করবে প্রশ্ন রেখেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।  

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, বেশকিছু দিন আমরা একটা শান্ত পরিবেশে ছিলাম। হঠাৎ গতকাল তারা সমাবেশ করে বলেছে তাদের তিনটা দাবি। এ দাবিগুলো আমার মনে হয় কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব না এবং অত্যন্ত অযৌক্তিক। তারপরও তারা বলেছে মানববন্ধন করবে, রাস্তাঘাট বন্ধ করবে। তারা করেছে, আমরা কিছু বলিনি। পুলিশ মোতায়েন ছিল, আর্মি মোতায়েন ছিল, তাদের বাধা দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম তাদের নেতা যারা আছেন তারা অত্যন্ত রেস্পন্সিবল। মনে করেছি এবং এখনো মনে করি তারা রেস্পন্সিবল হিসেবে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবে। তাতে কোনো আপত্তি নেই।  

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, গতকাল যা হয়েছে আপনারা জানেন। ১০০-এর বেশি বাস জ্বালানো হয়েছে, বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা করার কথা ছিল না। এটা কখনো হয়নি। হঠাৎ করে এটা কেন, এটা আমরা খতিয়ে বের করবো। আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন। যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা টোটালি ফলস কাজ করেছেন এবং দেশবাসীর জন্য বড় সংকট তৈরি করতে যাচ্ছিল।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চরম ধৈর্য দেখানো হয়েছে কিন্তু সেই ধৈর্যের মর্যাদা তারা রাখেনি। গতকাল মিটিংয়ের সময় সচিব কথা বলেছেন, তখন তারা বলেছেন যে আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো শান্তিপূর্ণভাবে। আজ তারা এসে কথা বলেছে। যিনি আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনিও এসেছিলেন। এখন পর্যন্ত তো কারো গায়ে হাত দেওয়া হয়নি, হয়েছে। এখন তো দেখছি এটি আমাদের দুর্বলতা। অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশকে মেরেছে এমনকি সেনাবাহিনীর গাড়ি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে।  

বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা পুনরায় চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, কী দিয়ে, হাউ? 

তাহলে কী বায়াররা আসতে পারবে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বায়াররা আসতে পারবে না, এ কারণে এ সম্পদের দায় কে নেবে? এ অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব কী? আপনি চালাবেন? 

২৩ একর জমি বন্ধক রেখে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেক্সিমকোর কর্মীরা। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ওই জায়গাও তো বন্ধক রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।