ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যে যেসব সংস্কার বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হবে তার ওপর নির্ভর করবে জাতীয় নির্বাচন এ বছর ডিসেম্বরে নাকি আগামী বছর জুনে হবে।
বুধবার (ফেব্রুয়ারি ০৫) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার গেটে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর বিষয়ে এ ব্রিফিং আয়োজন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ঐকমত্য কমিশন সবগুলো সংস্কার কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হবে যে কতটুকু সংস্কার খুব দ্রুত করতে হবে। কতটুকু পরে করা যাবে। কতটুকুর জন্য সংবিধান সংশোধন দরকার।
তিনি বলেন, ওনারা (ঐকমত্য কমিশন) সবার সঙ্গে কথা বলবেন। বলার পরে আসলে পুরো সংস্কারগুলোর যেগুলোর বিষয়ে সবাই ঐক্যমতে আসবেন সেই ঐক্যমত্যের ওপর যতগুলো সংস্কার, যেমন ওনারা পাঁচ হাজার রিফর্মের (সংস্কার) কথা বলেছেন তার মধ্যে দুই হাজারের ব্যাপারে সবাই ঐক্যমতে এসেছেন। এই ঐকমত্য যেটা হবে, এটাই সবাই সই করবে রাজনৈতিক দলগুলো।
শফিকুল আলম বলেন, সাইন করার পরে যেটা দাঁড়াবে সেটাই হবে জুলাই চার্টার। এই জুলাই চার্টারটারই বাস্তবায়ন এই সরকার কিছু করবে, পরে অন্য সরকারগুলো এসে করবেন। এই বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে নির্বাচনটা কি এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নাকি আগামী বছর জুনের মধ্যে হবে।
বিভিন্ন বিভাগ ভিত্তিক সংস্কার কমিশনের পাশাপাশি সংস্কার বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকার একটি ঐকমত্য কমিশন করেছে। এই ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিজে। অন্য কমিশনের প্রধানরা এই কমিশনের সদস্য।
এর আগে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশন প্রধান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বে তার টিম এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার টিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
এমইউএম/এসআইএস