নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ থানার গোলঘরে সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুপুরের দিকে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মিজানুর রজমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার এজাহারে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে আটক এক ইউপি সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন- কেশরপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও আওয়ামী লীগ কর্মী আবু তালেব টিপু (৪৪), একই ইউনিয়নের উনদনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর রতন (৫৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৪৩), তাজুল ইসলাম (৪৬), আক্তার হোসেন (৩২) ও জসিম উদ্দিন (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইউপি সদস্য মো. আবু তালেবের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই আনোয়ারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সেনবাগ থানা গোলঘরে সালিশ বৈঠকে বসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার একজন কর্মকর্তা। বৈঠকে উভয়পক্ষের সালিশদারেরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক চলাকালে বিবদমান দুপক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে একপক্ষ অপরপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তারা থানার গোলাঘরের কাচ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। ঘটনাস্থল থেকে ইউপি সদস্য মো. আবু তালেবসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে থানার গোলঘরে অনধিকার প্রবেশ ও ভাঙচুর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
** সেনবাগ থানার গোলঘরে মারামারি-ভাঙচুর, আটক ৬
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
এসআরএস