ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

আমরা সব সংস্কার করতে পারবো না: অর্থ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
আমরা সব সংস্কার করতে পারবো না: অর্থ উপদেষ্টা

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকার তার কার্যক্রম কন্টিনিউ করতে পারবে না। সব সংস্কারও করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, ব্যর্থতা আছে। আমরা কন্টিনিউ করতে পারবো না, সব সংস্কারও করতে পারবো না। আমরা একটা ফুটপ্রিন্ট রেখে যেতে চাই। ফুটপ্রিন্ট মানে আমরা যেটা করছি, লোকজন কনভিন্স, যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা যেন এটা কন্টিনিউ করে। যারা আসবেন তাদের রেস্পনসিভ হতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে এখন আস্থা আসছে। বিদেশ থেকে অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠায়। সবই ব্যাংকিং চ্যানেলে আসে বলবো না। হুন্ডির মাধ্যমে আসলে সব টাকা দেশে আসে না। কারণ, ওটা বাহিরেই থেকে যায়। বহু মানুষ আছে ডলার রেখে দেয়, আপনার টাকা পাঠায়। একটা ম্যাসেজ দিলে, হুন্ডা নিয়ে চট করে টাকা দিয়ে চলে যায়। কিন্তু আসার কথা ডলার। না আসার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রভাব পড়ে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট নেগেটিভ ছিল। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট নেগেটিভ ছিল। আমাদের রপ্তানি গ্রোথ ও নেগেটিভ ছিল। এখন কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট পজিটিভ। মোটামুটি ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি আছে। একেবারে পুরোপুরি চলে আসছে সেটা বলবো না। পৃথিবীর কোন দেশে চার-পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে বিদেশে যায়? নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ভারত- এত টাকা দিয়ে কেউ বিদেশ যায়নি। এত বেশি টাকা লাগার মূল কারণ যারা এজেন্ট তারা বেশিরভাগ টাকা নিয়ে নেয়। ভাড়ার টাকা এত বেশি হওয়ার কথা না। বিদেশে যেখানে পাঠায় সেখানেও টাকার ভাগীদার আছে।

উপদেষ্টা বলেন, বেতন-ভাতা যা পায় তা কিন্তু আশানুরূপ না। এর মূল কারণ হলো বেশিরভাগ অদক্ষ। আমি কয়েক দিন আগে আমি মদিনা থেকে এলাম। দুয়েকটা হোটেলের ম্যানেজার বাঙালি, বেশিরভাগ ক্লিনার। অপরদিকে শ্রীলঙ্কান, ভারতীয়, পাকিস্তানি বেশিরভাগ ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার অথবা ডেস্কে বসে। তফাতটা হলো তারা মোটামুটি লেখাপড়া শিখে আসছে এবং ল্যাংগুয়েজ ভালো জানে। সময় আসছে দক্ষ জনবল বিদেশে পাঠানোর।

সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন বিএআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।