ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

আশুলিয়ায় দগ্ধ ১১,  মৃত বেড়ে ২

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
আশুলিয়ায় দগ্ধ ১১,  মৃত বেড়ে ২

ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়া গোমাইল এলাকায় একটি বাসায় আগুনে নারী শিশুসহ ১১ জন দগ্ধের ঘটনায় সুমন রহমান (৩৫) নামে আরও একজন মারা গেছেন। গত রাতে মারা যান সুমনের বোন শিউলি আক্তার (৩২)।

রোববার (১৬ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুমন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান সুমনের ৯৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আরও ৯ জন ভর্তি আছে। এরমধ্যে  ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় গতরাতে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান সুমনের বোন শিউলী আক্তার (৩২)।

বর্তমানে সূর্য বেগম (৫০) ৭ শতাংশ,  সোহেল (৩৮) ১০ শতাংশ, শারমিন আক্তার (৩৫) ৪২ শতাংশ, সোয়াইদের (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়া (৩ মাস), ৯ শতাংশ মনির হোসেন (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদী (৭) ১০ শতাংশ, ও জহুরা বেগম (৭০) ৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাতে দগ্ধ একই পরিবারের ১১ জনকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে শিউলি আক্তার ও সুমন নামে দুজন মারা গেছেন। তাদের শরীরে ৯৫ ও ৯৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।  

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে ৪ জন শিশু রয়েছে।  

দগ্ধরা হলেন- মোছা. সূর্য বানু (৫৫), মোছা. জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল (৩৮), সুমন মিয়া (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (০৭), সোয়ায়েদ (০৪) ও মোছা. সুরাহা (০৩)।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় সুমন দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। আজ রাতে তার ভাই সোহেলের পরিবার সুমনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোহেল অন্য স্থানে ভাড়া থাকতেন। তার মা সাতদিন সোহেলের বাসায় আর সাতদিন সুমনের বাসায় থাকতেন। কিন্তু আজ সবাই সুমনের বাসায় যান। শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা বানানোর সময় বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে। এসময় তাদের পরিবারের শিশু ও নারীসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হয়।  

দগ্ধে সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে আজ আমার ভাই সুমনের বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। নিমিষেই ঘরে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনে আমাদের পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

নারী ও শিশু হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ রোগী রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নিয়ে আসেন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।  

আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ দগ্ধ ১১

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৬
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।