ঢাকা: দেশের রেকর্ডভুক্ত গোচারণভূমি সংরক্ষণ করতে হবে। এগুলো শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে যাতে কোনোভাবেই বন্দোবস্ত দেওয়া না হয়, সেদিকে জেলা প্রশাসকদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অষ্টম কার্য-অধিবেশন শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকের সভায় ডিসিদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে। যেমন, উপজেলা পরিষদের বাজেটে প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ নিশ্চিত করা, সীমান্তবর্তী এলাকায় গবাদিপশু চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। জেলা ও পৌরসভাগুলোতে সরকারিভাবে নির্মিত আধুনিক কসাইখানা ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। প্রাণিসম্পদের রোগ প্রতিরোধ ও নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, রমজানে সুলভ মূল্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক মাংস/ডিম/দুধ বিক্রির কার্যক্রমে সহায়তা/সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত ওয়েট মার্কেট সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য স্থানীয় সরকারসহ প্রশাসনিক সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশাসনিক সহায়তা দিতে হবে। এ ছাড়া কোরবানির হাট ব্যবস্থাপনায় ভেটেরিনারি টিমকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও হাটে প্রাণিকল্যাণ আইন মেনে চলা নিশ্চিতকরণ, গবাদিপশু পালনকারীদের কৃষি ঋণ সুবিধার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা, গবাদিপশুর হাট ব্যবস্থাপনায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি। কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করে প্রাণিজাত পণ্য পরিবহন ও বিপণন নিশ্চিতে করতে হবে।
কৃষি জমিতে অতিরিক্ত Pesticides/Herbicides ব্যবহারের ফলে মাটি ও জলজ উৎস থেকে খাদ্য গ্রহণকারী গবাদিপশু-পাখি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বিধায় পরিবেশবান্ধব সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণে নজরদারি। উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন জেগে ওঠা চরের জমি মহিষের বাথান ও চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহারের জন্য লিজ/বরাদ্দ প্রদান এবং বন্যায়/দুর্যোগে গবাদিপশুর আশ্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত গোমাঠ/ উঁচু মাটির ঢিবি/ টিলা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
জিসিজি/এমজেএফ