মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামে দুটি পরিবারের মধ্যে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে আহত মাহফুজা খাতুন (৫৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ শনিবার (০১ মার্চ) দিবাগত রাত নয়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মাহফুজা খাতুন ও তার স্বামী আব্দুর রশিদ ও ছেলে সোহেল রানাকে ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছিল।
তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মাহফুজা খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার মারা যান তিনি।
নিহতের ছেলে রাসেল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় আমি এখন মামলা করার জন্য গাংনী থানায় রয়েছি।
রাসেল আহমেদ জানান, তার বড়ভাই সোহেল রানার সাথে প্রায় আড়াই বছর আগে একই গ্রামের শওকত আলীর মেয়ে পিংকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলনা। কয়েক দিন আগে ভাই সোহেল রানা ও ভাবি পিংকির মাঝে মনোমালিন্য হয়।
পরে পিংকির পিতার পরিবারের লোকজন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাদের বাড়িতে যেয়ে ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করেন। এতে তার পিতা আব্দুর রশিদ, মা মাহফুজা খাতুন, ও ভাই সোহেল রানা জখম হন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রাসেল আহমেদ বাদী হয়ে একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৫
এসএইচ