ঢাকা, সোমবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গার জনতা ক্লিনিকে দুই রোগীর মৃত্যু, ক্লিনিক সিলগালা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার জনতা ক্লিনিকে দুই রোগীর মৃত্যু, ক্লিনিক সিলগালা চুয়াডাঙ্গার জনতা ক্লিনিককে নানা অভিযোগে রোববার সিলগালা করা হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল সড়কের জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স না থাকার অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে।  

রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ অভিযানে এ ব্যবস্থা নেয়।

 

এছাড়াও, ওই ক্লিনিকে সম্প্রতি দুই রোগী মৃত্যুর ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি হবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দীন আহমেদ।

অভিযানসূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনে ট’বাজারে অবস্থিত জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ৯ ফেব্রুয়ারি একজন প্রসূতি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি আর একজনের জরায়ূ অপারেশনের পরে মৃত্যু হয়।  

ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার নানা চেষ্টা চালায়। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ জানার পর জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যবিভাগ ওই ক্লিনিকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আরও বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অফিস সময়ে বেসরকারি ওই ক্লিনিকটিতে জেলা মাতৃ সনদের শাসসুন্নাহার শম্পা নামে একজন সরকারি চিকিৎসক এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশ করছিলেন। এছাড়া পর্যাপ্ত নার্স ও চিকিৎসক ছিল না সেখানে।

সিভিল সার্জন ডাক্তার হাদী জিয়া উদ্দীন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দুই রোগী মৃত্যুর বিষয়টি জানার পর ওই ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করি। এখানে এসে দেখি, ক্লিনিকটির লাইসেন্স নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে সকল নিয়ম মানা প্রয়োজন, তা এখানে মানা হয়না। একজন মাত্র ডিপ্লোমা নার্স উপস্থিত ছিলেন। কমপক্ষে আরও তিনজন নার্স থাকার প্রয়োজন ছিলো।  

তিনি বলেন, যে ধরনের বিধি ব্যবস্থা নিয়ে রেজিস্ট্রার মেইনটেইন করে অপারেশন করা দরকার ছিল, সেই বিধি তারা প্রতিপালন করেনি। লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন বলেন, ‘কোনো সরকারি ডাক্তার অফিস সময়ে ক্লিনিকে সেবা প্রদান করতে পারবেন না। এখানে একজন সরকারি ডাক্তার পাওয়া গেছে। যেহেতু তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করেন। আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে পরিবার পরিকল্পনায় জানাবো। দুইজন রোগী মৃত্যুর ঘটনায় দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি করা হবে। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আওলিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাঈফ এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাজিদ হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।