চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় একটি বাজারে আগুন লেগে অন্তত ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি।
সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১২টার পর কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাজারের পশ্চিম দিকের একটি দোকানে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ইব্রাহিম জানান।
ইব্রাহীম বলেন, ঘটনার পর আমরা হাইমচরে ফায়ার সার্ভিসকে মোবাইলফোনে কল দিলে তারা এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে চারটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার পর তাদের পানির পাম্প কাজ না করায় আগুন নেভাতে দেরি হলে সবকটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে পাশের উপজেলা ফরিদগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ওষুধের দোকানের মালিক কাজী নজরুল ইসলাম রুবেল বলেন, আমরা রাতে তারাবির নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যাই। হঠাৎ খবর আসে, আমার দোকানসহ ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসে দেখি আমার দোকানে থাকা ওষুধ ও টাকা পুড়ে শেষ।
ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া কবিরাজ বলেন, এটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। আর বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিসের অবহেলার কারণেই আমার আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
হাইমচর ফায়ার সার্ভিস লিডার রতন শেখ জানান, সোমবার রাত ১২টার পরে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য রিজার্ভে থাকা পানি ছিটানো হয়। পানি শেষ হয়ে গেলে পুকুরে পাম্প লাগালে মেশিনে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। তখন আমরা পাশের উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিস এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনি। আগুনে পুড়ে প্রায় ২৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।
হাইমচর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আগুনে পুড়ে দোকানের ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে প্রায় ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। ফায়ার সার্ভিসের ও বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্তের মধ্যমে দেখব -এটা কোনো ষড়যন্ত্র কি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৫
এসআরএস