ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২ রমজান ১৪৪৬

অন্যান্য

পায়ে গুলি করে মুয়াজ্জিনকে পঙ্গু, ওসিসহ ৪৬ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
পায়ে গুলি করে মুয়াজ্জিনকে পঙ্গু, ওসিসহ ৪৬ জনের নামে মামলা নির্যাতিত মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন এবং ওসি নজরুল ইসলাম

কুমিল্লা: বাড়ি থেকে ধরে এনে পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের নামে মসজিদের মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন মামলা দায়ের করেছেন।  

মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ ৪৬জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী দৌলখাঁড় গ্রামের বেলাল হোসেন।

 

বুধবার (১২ মার্চ) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ ঘটনা ঘটে।  

ভুক্তভোগী মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের বাম গ্রামের পণ্ডিত বাড়ির আলী হায়দারের সন্তান।  তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে  জড়িত ছিলেন।

ভুক্তভোগী মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে নাঙ্গলকোটে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বেলায়েত হোসেন নামে আরও একজনকেও সঙ্গে নিয়ে নাঙ্গলকোটের লুধুয়া নামক স্থানে নিয়ে নাঙ্গলকোট থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম দুইজন পুলিশ সদস্যকে পায়ে গুলি করতে বলেন। তারা গুলি করতে রাজি না হলে ওসি নজরুল ইসলাম নিজেই আমাদের দুইজনকেই বাম পায়ের হাঁটু বরাবর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে।

পরবর্তীতে তাদের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় এক বছর কারাভোগ করতে হয়েছে।

মুয়াজ্জিন বেলাল আরও বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকাকালীন উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে ঢাকা রেফার্ড করা হলেও ওসি নজরুল ইসলাম তা হতে দেননি। যে কারণে চিকিৎসার অভাবে আমার পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ৭ সদস্য, নাঙ্গলকোট উপজেলার তৎকালীন চেয়ারম্যান ও তৎকালীন পৌরসভার মেয়রসহ মোট ৩১জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছি।  

এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমি আশা করছি, ন্যায় বিচার পাব।

মামলার আইনজীবী বদিউল আলম সুজন জানান, নির্যাতন ও হেফাজতের মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নির্দেশনা দেবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।