ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা পাড়ের অধিক ভাঙন কবলিত ২০ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে।
বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর গ্রিন রোডস্থ পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘পানি খাতে সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা পাড়ের বেশি ভাঙনপ্রবণ ৪৩ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ২৪৩ কোটি টাকার অনুমোদন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেছে। তবে প্রথম বছরে তিস্তার অধিক ভাঙনপ্রবণ ২০ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে তিস্তার অধিক ভাঙনপ্রবণ বাকি ২৩ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের কাজও দ্রুততার সাথে করা হবে।
রিজওয়ান হাসান আরও বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমে দেশের যে সমস্ত জায়গায় ঘূর্ণিঝড় বা বেশি বন্যায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে, সেই সমস্ত এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় অফিসগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ এবং ব্লক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থায় সাড়া দেওয়ার জন্য কী কী ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে, তার তালিকা এপ্রিল মাসের মধ্যে জমা দিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রসঙ্গে পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনার ফিজিবিলিটি স্টাডির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে দুইটা শর্তে এবং সেটা হচ্ছে পাওয়ার চায়না তিস্তা পাড়ের মানুষদের কাছে গিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথাটা বলবে। যারা নদী নিয়ে কাজ করে তাদের সাথে কথা বলবে। ইতোমধ্যে তিস্তা পাড়ের ৫ জেলায় গণশুনানি হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে, ওই বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনার জন্য চীন থেকেও তাদের বিশেষজ্ঞ, এক্সপার্ট টিম আসবে। সকলের সম্মতি নিয়েই আসলে কতটুকু উপকার হবে, এটা বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নোয়াখালীতে গত বন্যার সময় পানি নামছিল না, কারণ সেটা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সাগর থেকে জোয়ার উঠে আর নামতে পারছে না। কারণ সেখানে খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে বিশ্ব পানি দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জলাভূমি ও হাওর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
এসকে/এমজেএফ