ঢাকা, শনিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১০ মে ২০২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

ধামরাইয়ে ৪ অপহরণকারীকে গণধোলাইয়ের পর থানায় সোপর্দ

অতিথি করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১৩, মে ৯, ২০২৫
ধামরাইয়ে ৪ অপহরণকারীকে গণধোলাইয়ের পর থানায় সোপর্দ

ঢাকা (সাভার): গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে প্রাইভেটকারে তুলে হাত-পা বেঁধে মুক্তিপণ দাবি করা চক্রের চার সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ২টার দিকে ধামরাইয়ের চাওনা গ্রামের সুমনের দোকানের সামনে তাদের গণধোলাই দেন স্থানীয় জনতা।

এ সময় অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করেন তারা।

আটক হওয়া অপহরণকারীরা হলেন-রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার দেওকা তারাগঞ্জ এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মো. জয়নাল (৩৮), সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪২), গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার হরিচণ্ডি গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে মেহেদী হাসান (২৭) এবং সাভারের আমিনবাজার দেড় বেগুনবাড়ি এলাকার নজরুল দেওয়ানের ছেলে আব্দুল আজিজ (৩২)।

ভুক্তভোগীরা হলেন-বগুড়া জেলার ধুনট থানার কাশিয়াহাটা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) এবং একই থানার পিরহাটি গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে মো. টুটুল মিয়া (৩০)।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আটক অপহরণকারীদের এবং উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে নিজ গ্রামে ফেরার উদ্দেশ্যে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন রফিকুল ও টুটুল মিয়া। এ সময় একটি প্রাইভেটকার এসে তাদের গন্তব্যস্থল জানতে চায়। পরে ভাড়া মিটিয়ে তারা গাড়িতে ওঠেন। জিরানীবাজার এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা তিন অপহরণকারী তাদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তারা মুক্তিপণের জন্য পরিবার থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনার চাপ দেয় এবং বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাতে থাকে।

সর্বশেষ ধামরাইয়ের চাওনা গ্রামের সুমনের দোকানের সামনে ভুক্তভোগীদের নামিয়ে দিলে তারা চিৎকার শুরু করেন। এ সময় স্থানীয়রা গাড়িটি আটক করে ভেতরে থাকা চার অপহরণকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। একইসঙ্গে অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করেন তারা।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।  
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।