ঢাকা: ষোল বছরে পা রাখলো দেশের অন্যতম শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ‘সংবাদ বিনোদন সারাক্ষণ’ স্লোগানে ২০১০ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ পিএলসির (ইডব্লিউএমজিপিএলসি) এই সংবাদ প্রতিষ্ঠান।
ইংরেজিতে একটি কথা আছে- ‘সুইট সিক্সটিন’। তবে একটি গণমাধ্যমের জন্য এ যাত্রা এতো সহজ, সাবলীল নয়। বিশেষ করে কোনো জনপদে ফ্যাসিবাদ চেপে বসলে সে যাত্রা হয় আরও কঠিন। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার এই বাড়বাড়ন্তের যুগে নানা বিভ্রান্তি, গুজব ও অপতথ্যের জাল সরিয়ে সত্য, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদের ধারা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিংই বটে। এই চ্যালেঞ্জে উতরাতে পারার কারণে পাঠক বাংলানিউজকেই রেখেছেন তাদের আস্থা-ভরসার জায়গায়।
অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতিই হচ্ছে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তা পাঠক-শ্রোতাকে জানানো। আর গত ১৫টি বছর পাঠককে প্রতিদিন নতুন নতুন তরতাজা খবর জানিয়েছে সেই সেবাটিই দিয়ে এসেছে এ প্রতিষ্ঠান। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশাল মাল্টিমিডিয়া টিম। তাই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমেও পাঠকরা পাচ্ছেন দেশ-বিদেশের খবরাখবর।
একঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মী ঢাকায় এবং জেলায় জেলায় প্রতিনিধিরা দিন-রাত একাকার করে বুনে যাচ্ছেন হাজার হাজার শব্দ। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে দুই শতাধিক কনটেন্ট। এতে মিলছে রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন, আবহাওয়া, লাইফস্টাইলসহ নানা ধরনের, হরেক রকম খবর। প্রতিদিন যে পরিমাণ কনটেন্ট তৈরি করছে বাংলানিউজ, তা প্রায় দু’টি পত্রিকার সমান। আর এই কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে একটি পরিচ্ছন্ন, পরিশ্রমী, উদ্যোমী টিম ও তার নেতৃত্বের কারণে।
বাংলানিউজ মনে করে, এর প্রাণ ও প্রেরণা পাঠক। বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীরা এর সবসময়ের সঙ্গী। এই শুভলগ্নে তাই বাংলানিউজ বিশেষ করে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাতে চায় সেই পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের।
ষোল বছরে পদার্পণ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় বাংলানিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রায় দেড় দশকেরও বেশি সময় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দেশের গণমাধ্যমকে। এর থেকে রেহাই পায়নি বাংলানিউজও। তারপরও এ প্রতিষ্ঠান বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে দেশ-জাতির সেবায় ব্রত থাকার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় দেশের ক্রান্তিকালে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখিয়েছে বাংলানিউজ। এই দৃঢ়চেতা অবস্থানের পেছনে বাংলানিউজের শক্তি তার পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরা। তাদেরই প্রেরণাকে পুঁজি করে বাংলানিউজ ভবিষ্যতে এই কাজটি আরও বিস্তৃত পরিসরে করতে দৃঢ়প্রত্যয়ী।
ইইউডি/এইচএ/