ঢাকা: দেখতে দেখতে ফিরে এসেছে রক্তাক্ত জুলাই মাস। গত বছর এই মাসেই শুরু হওয়া কোটাবিরোধী আন্দোলন এক পর্যায়ে রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে।
ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে সে সময় আওয়ামী লীগ সরকারের গুলিতে প্রাণ হারায় প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা। আহত হয় কয়েক হাজার। সেই রক্তাক্ত জুলাই মাস স্মরণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। অনেকে আবার তাদের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন মানিক নামে একজন ফেসবুকে জুলাই লেখা একটি লাল ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, জুলাইয়ের পবিত্র পাখিরা ফিরে এসো৷ অসমাপ্ত কাজ শেষ করে যাও।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, নিউজফিড দেখে চোখ ভিজছে বারবার। জুলাই এসেছে! জুলাই এসেছে খেয়াল করিয়ে দিতে, যে বাইরে বাইরে আমাদের হাজার পার্থক্য থাকলেও আত্মাটা এক।
জাতীয় নাগারিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহও তার প্রোফাইল পিকচার লাল করেছেন।
১ জুলাই ভোরে ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকার ছবি দিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি ইংরেজিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আজমেরী হক লিখেছেন, “জুলাই অভ্যুত্থান আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি। সে সময়টা আমাকে আশার আলো দেখিয়েছিল—সাহস জুগিয়েছিল দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না, কিন্তু আমি নিয়েছিলাম। আমি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, এই বিশ্বাস নিয়ে যে একদিন একটা ভালো ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব।
আমরা এক হয়েছিলাম এমন একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, যারা জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র তাক করছিল নিজেদের নাগরিকদের দিকেই। কোনো কারণ ছাড়াই মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল। নিরপরাধ প্রাণ ঝরে যাচ্ছিল। রিয়া মনির মতো ছোট ছোট মেয়েরা প্রাণ হারিয়েছিল, না বুঝেই—তাদের অপরাধটা কী ছিল, তাও জানার আগেই।
সেই দিনগুলোতে আমরা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিলাম—আমাদের অধিকার, আমাদের দেশের জন্য। ওটা ছিল এক বিরল মুহূর্ত, যখন আমরা সাহস করে স্বপ্ন দেখেছিলাম—একটা ভালো, ন্যায়ের সমাজ গড়ার স্বপ্ন।
সেই সাহস আর সেই আশা আমি সারাজীবন বয়ে নিয়ে চলব। ”
এসসি/আরবি