ঢাকা: নতুন টেলিকম পলিসি কার্যকর হলে মেয়াদ থাকা অবস্থায় কারো লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, দেশীয় বিনিয়োগকারীদের নাম করে একদল স্বৈরাচারের দোসর এবং মাফিয়ারা অপতথ্য ছড়াচ্ছে।
নতুন টেলিকম পলিসি নিয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের উদ্বেগের মধ্যে সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রস্তাবিত টেলিকম পলিসি কার্যকর হলে আইসিএক্স, আইজিডব্লিউসহ দেশীয় টেলিকম বিনিয়োগকারীরা বাধাগ্রস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করা হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ একটা অপব্যাখ্যা। আমরা বলেছি যে নতুনরা যখন তাদের লাইসেন্স রেজিম শেষ হয়ে যাবে, কারো লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে না। প্রত্যেককে একটা নির্দিষ্ট সময় ১০ বা ১৫ বছরের মেয়াদে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তার লাইসেন্স মেয়াদকালীন লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে না।
‘যেটা হবে, সেটা হচ্ছে যেহেতু এই লাইসেন্সগুলো আন্তর্জাতিক স্তরের বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নেই। নতুন লাইসেন্স ব্যবস্থায় এ লাইসেন্সগুলো কনটিনিউ করবো না। তখন তাদের নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে নতুন লাইসেন্স কিনে নতুনভাবে ব্যবসা করতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, আমরা সেজন্য বলেছি, যারা নতুনভাবে আবেদন করবে, আমরা তাদের অগ্রাধিকার দেব- এটা নতুন পলিসিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে। এর বাইরে আইসিএক্স, আইজিডব্লিউগুলো যারা আছে, যাদের লাইসেন্স ২০২৭ সালের দিকে শেষ হয়ে যাবে; তারা চাইলে আউটসোর্সিং হিসেবে এক্সিস্টিং লাইসেন্সে কাজ করার সুযোগ আছে।
‘সুতরাং এটা সম্পূর্ণ অপব্যাখ্যা যে দেশীয়দের ব্যবস্থা বন্ধ করা হচ্ছে। দেশীয়দের ব্যবসা বন্ধ করা হচ্ছে না। দেশীয়দের নাম করে একদল স্বৈরাচারের দোসর এবং মাফিয়ারা ব্যবসায়ী যারা সিন্ডিকেট তৈরি করছিল, যারা এ সিন্ডিকেট ভাঙতে চায় না এবং যারা এ সিন্ডিকেট ভেঙে নতুনদের টেলিকম ব্যবসায় আসতে দিতে চায় না তারা এ ধরনের অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলে আমি মনে করি। ’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. জহিরুল ইসলাম।
এমআইএইচ/আরআইএস