উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় হতাহতদের তথ্য যাচাই ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই ক্যাম্পাসে ৯ ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন-এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, বিভ্রান্তি দূর করতে কলেজ ক্যাম্পাসেই একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন দুই উপদেষ্টা।
প্রেস সচিব লেখেন, ‘সরকারের মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করার কোনো কারণ নেই। ’
তিনি বলেন, ‘গতকাল মাইলস্টোন কলেজে গিয়ে দেখি চারদিকে শোক ও ক্ষোভে ভারী এক পরিবেশ। অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছে, মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ’
২০০২ সাল থেকে বহু দুর্ঘটনার সংবাদ কাভার করার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি লেখেন, বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন রাখা প্রায় অসম্ভব। ‘নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা রিপোর্ট করেন, পরে হাসপাতাল ও প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী অধিকাংশই তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে পান। মাইলস্টোন কলেজ চাইলেই হাজিরা খাতায় দেখে অনুপস্থিতদের শনাক্ত করতে পারবে। ’
শফিকুল আলম বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে যে কন্ট্রোল রুম গঠন করা হচ্ছে, সেখানে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এটি আজ থেকেই পূর্ণভাবে চালু হবে।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সামরিক বাহিনীও আহতদের অবস্থা নিয়ে নিয়মিত তথ্য দিচ্ছে।
‘আমরা চাইলে আগেই চলে আসতে পারতাম,’ বলেন তিনি। ‘কিন্তু উপদেষ্টারা চেয়েছেন যেন কোনো রকম বলপ্রয়োগ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সমাধান হয়। তারা প্রয়োজনে রাতেও থাকার প্রস্তুতি রেখেছিলেন। আমরা তখনই বিদায় নিই, যখন বুঝি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ’
তিনি লেখেন, ‘এই দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা আমাদের জাতির শহীদ। আসুন, সবাই মিলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও আধুনিক ও নিরাপদ করি, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা না ঘটে। ’
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে বিধ্বস্ত হয়। এতে এ পর্যন্ত ৩১ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছে।
এসআইএস