ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের সাচিবিক বিজয় অর্জিত হলেও মূল লড়াইটা সামনে বলে মন্তব্য করেছেন কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের বর্তমান সভাপতি কবি হাসান হাফিজ।
মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলমসহ বিএফইউজে, ডিইউজে, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিআরইউ) নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কালের কণ্ঠের সম্পাদক বলেন, ৫ আগস্ট যেমন আনন্দের, তেমনি বেদনার দিন। কারণ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে এখানে আন্দোলন হয়েছে, কেবল ৩৬ দিন আন্দোলন হয়নি। এই পটভূমি তৈরির জন্য অনেক প্রাণ ঝরেছে, গুম হয়েছে, মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছে অনেককে। এই আন্দোলনে আমাদের সাংবাদিকদের রক্তধারাও মিশ্রিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সাচিবিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু মূল লড়াইটা সামনে। সেটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে সুসংহত করা। গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা বিকাশ নিশ্চিত করা। একটা সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্ত এবং ফ্যাসিবাদের বিচার করা।
হাসান হাফিজ বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সীমান্তে রক্তপাত এখনও বন্ধ হয়নি এ বিষয়ে রাজনৈদিক দলগুলো কেন নিশ্চুপ আমি জানি না। কেন আমরা নতজানু লিগ্যাসি বহন করবো। আমাদের রক্তের মধ্যে কি দাসত্ব? আমরা সরকারকে বলবো, তারা যেন নির্বাচন দিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিয়ে প্রস্থান করে। তাদের জন্য পথটা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
বিএফইউজে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন বলেন, আমাদের লড়াই শুধু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিলো না, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যারা এই জুলুম করেছে আমরা ছিলাম তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সব সময় প্রস্তুত। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পড়ে সেই লড়াইয়ের অবসান ঘটবে। কিন্তু কি দেখতে পেলাম? যাদের অত্যন্ত আস্থার সঙ্গে ক্ষমতায় বসিয়েছি, তাদেরই একটা শ্রেণী সবার আগে এই সাংবাদিকদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলো। সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা দিতে তারা কার্পণ্য করলো।
ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হয়, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা ধরে নিয়েছিলাম এদেশে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলছি, এ সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জিসিজি/এনডি