ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহত হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেওয়া আরও দুইজনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো এখানে চিকিৎসাধীন ২৪ জন।
যে দুজন ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তারা হলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকা সুমাইয়া লরিন ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুরে জান্নাত ইউশা। এর মধ্যে লরিনের শরীরের ১৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আর ইউশার দগ্ধ হয়েছিল ১০ শতাংশ।
এই দুজন মিলিয়ে ইনস্টিটিউট থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৪ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
রোববার (১০ আগস্ট) জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, এই পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাসহ মোট ১৮ জন মারা গেছেন। তবে ১৪ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
গত ২১ জুলাই দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ওই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহায়তায় বিভিন্ন বাহিনী উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। রাত পর্যন্ত চলে অভিযান। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতেই ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে বিমানটির পাইলট তৌকির ইসলামও ছিলেন।
আহতদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। সরকারের হিসাব অনুসারে, সবমিলিয়ে ৩২ জন মারা যান।
ওই দুর্ঘটনায় পরদিন ২২ জুলাই একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়।
এজেডএস/এইচএ/