ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

দ্বিকক্ষের আইনসভার পক্ষে ৬৯ শতাংশ মানুষ: জরিপ সুজনের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫২, আগস্ট ১২, ২০২৫
দ্বিকক্ষের আইনসভার পক্ষে ৬৯ শতাংশ মানুষ: জরিপ সুজনের মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের তথ্য তুলে ধরে সুজন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ) ও সিনেট (উচ্চকক্ষ) নিয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিয়েছেন একটি জরিপে অংশ নেওয়া ৬৯ শতাংশ মানুষ। আনুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে ৭১ শতাংশ মানুষ।

এছাড়া একই ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধানের পক্ষে ৮৯ শতাংশ।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণে জনমত যাচাইয়ে পরিচালিত জরিপে এ মতামত উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইনসভা সংস্কার বিষয়ে জনমত জানাতে ৬৪ জেলায় জরিপটি চালানো হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেছেন এক হাজার ৩৭৩ জন, যার মধ্যে নারী ৩৩৫ জন, পুরুষ ১ হাজার ৩৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন। জরিপটি মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এতে মোট ৪০টি প্রশ্ন রাখা হয়, যার উত্তর দেন অংশগ্রহণকারীরা।

জরিপ চলাকালে ১৫টি নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের মতামত জানান। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আইনসভা সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

জরিপ অনুসারে, ৬৩ শতাংশ মানুষ ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট নারী আসন সংরক্ষণের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। একইভাবে ৬৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জাতীয় সংসদে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের প্রস্তাবে সম্মতি জানান।

জরিপে আরও দেখা গেছে, দেশের আইনসভা কাঠামো সংস্কারে নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য অংশ সমর্থন জানিয়েছেন।

জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংসদীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং বিরোধী দলের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে নাগরিকরা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সালে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি খসড়া ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করে সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে সংগঠনটি।

সুজনের কেন্দ্রীয় সদস্য জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। জনমতের ফল উপস্থাপন করেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য মো. একরাম হোসেন।

টিএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।