বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) কর্তৃপক্ষ আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অধ্যাপককে হেনস্তা ও মব সৃষ্টির অপচেষ্টার ঘটনার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে গণসংযোগ বিভাগের পাঠানো সংবাদবিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেডিওলজি এ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে শারীরিকভাবে হেনস্তা ও মব সৃষ্টির অপচেষ্টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ কিছু গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রচার বিএমইউ কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার জন্য আগত রোগীদের সংখ্যা নির্ধারিত সীমার বাইরে হওয়ায় বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে কিছু উত্তেজিত রোগী রেডিওলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের রুমে হট্টগোল সৃষ্টি ও হেনস্তা করে।
পরবর্তীতে অধ্যাপক চারতলা থেকে নিচে নামলে সেখানে অপেক্ষমান কিছু উশৃঙ্খল রোগী শারীরিকভাবে হেনস্তাসহ মব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসার সদস্যরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দায়িত্ব পালনরত কোনো আনসার সদস্য বা কর্মচারী রোগীদের প্রতি হেনস্থা করেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে যে সংবাদ প্রচার হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
ওই দিন রেডিওলজি এ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের অধীনে মোট ১৩৯ জন রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে সেবা প্রদানের সক্ষমতার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় ভিড় তৈরি হয়।
বিএমইউ কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, তারা রোগীদের সেবাদানে অন্তরিক ও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং রোগীদের ভোগান্তি কমানোর জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে এমন সংবাদ বা তথ্য প্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরকেআর/এমজে