সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। সকাল থেকেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের সামনে অপেক্ষা করছেন হাজারো মানুষ।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে কার্গো কমপ্লেক্স এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এখনো ভেতরে পানি ছিটিয়ে আগুনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার কাজ করছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ধোঁয়া কমলেও আগুনের তাপ ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্রে মানুষের মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট।
অপেক্ষমানদের মধ্যে রয়েছেন সাইন্টিফিক ইনস্ট্রুমেন্ট কোম্পানির ফার্মাসিউটিক্যাল ইকুইপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার কামাল মোর্শেদ। তিনি বলেন, শুক্রবার আমাদের মালামাল এসে পৌঁছায়। দুই দিন ছুটি থাকায় ছাড় করতে পারিনি। তার মধ্যেই আগুন লেগেছে। জানি না, আমাদের পণ্য পুড়ে গেছে নাকি বেঁচে আছে। যদি পুড়ে যায়, তাহলে আবার আমদানি করতে হবে, না হলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো জানতে পারা— আমাদের মালামালের অবস্থা কী।
পণ্য আমদানিকারকদের মতোই উদ্বেগে রয়েছেন সিএন্ডএফ কোম্পানির কর্মী, ড্রাইভার ও সহকারীরা। কোটি কোটি টাকার পণ্যের ডকুমেন্ট রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের হাতে।
সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান এএফএম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্মচারী শামীম হাসান সকাল থেকে কার্গো কমপ্লেক্সের সামনে হাতে ডকুমেন্ট নিয়ে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, আজ পাঁচ লাখ ডলারের আমদানি পণ্য ছাড় করার কথা ছিল। সবই ছিল ওষুধের কাঁচামাল ও গার্মেন্টসের স্যাম্পল। কিন্তু গতকালের আগুনে সব পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ছুটি না থাকলে শনিবারই মালামাল ছাড় করা যেত। কিন্তু আগুনে সব শেষ হয়ে গেছে। এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছি, জানি না কী হবে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ভেতরে পানি দিচ্ছে, কেউই এখনো ভেতরে ঢুকতে পারছে না। ভেতরে কী অবস্থা— তা জানার কোনো উপায় নেই।
জেডএ/এমজে