জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনকে হত্যার সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা। তার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তার মন গলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে পুলিশ।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানান, বাসায় পড়াতে গিয়ে জোবায়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বর্ষার। জোবায়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে মাহির রহমানের সঙ্গে ব্রেকআপ করেন বর্ষা। কিন্তু মাহিরকে ভুলতে পারছিলেন না বর্ষা। এক পর্যায়ে বর্ষা ও মাহির ২৩ দিন ধরে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন মো. মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, প্রথমে ভয়ভীতি দেখাতে চাইলেও বর্ষার চাপে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাহির। তিনি নিজেই গলায় কোপ দেন জোবায়েদকে।
প্রসঙ্গত, নিহত জোবায়েদ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় বর্ষার বাসায় টিউশনে যাওয়ার পথে জোবায়েদের সঙ্গে দেখা হয় মাহিরের। এ সময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পরই জোবায়েদ ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে জোবায়েদের প্রথম জানাজা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
আরআইএস