ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অনুমতির জন্য ঢুকতে পারেনি, এ অভিযোগ সত্য নয়: বেবিচক চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৭, অক্টোবর ২১, ২০২৫
ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অনুমতির জন্য ঢুকতে পারেনি, এ অভিযোগ সত্য নয়: বেবিচক চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমতির কারণে তারা কাজ করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

তবে এ অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে কুর্মিটোলায় বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বেবিচকের অনুমতি না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের কাজ করতে দেরি হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমি তদন্ত করে দেখেছি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, কিন্তু কেউ বলেনি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপর কোনো কর্তৃপক্ষ যদি এ অভিযোগ করে, তাহলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো। এ অভিযোগ যারা করছেন, সেটা সত্যি নয়।

ইমপোর্ট কার্গো সেকশনের সামনে খোলা আকাশের নিচে থাকা মালামালের কারণে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো পক্ষকে দোষ দিতে যাবো না। ওই ভবনটি আমরা (বেবিচক)। কিন্তু ভবনের ভেতরে যে কার্যক্রমের দায়িত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কাস্টমস, সিআন্ডএফ এজেন্ট ও কুরিয়ার এজেন্টদের। কার্গো সেকশনের সামনে এপ্রোনে যে মালামাল স্তূপ হয়ে থাকে সেটা ২১ দিনের মধ্যে ক্লিয়ার হয়ে যাওয়ার কথা। যদি এর মধ্যে ক্লিয়ার না হয়, তাহলে এ তিন কর্তৃপক্ষ মিলে সেগুলো ক্লিয়ার করে। মালপত্র জমে থাকার দায়-দায়িত্ব তাদের। এ মালপত্রগুলো না সরানোর কারণে ফায়ার সার্ভিস যেতে দেরি হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আগুন নির্বাপণের জন্য চারটি গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটি নষ্ট। যেকোনো জিনিসের শতভাগ কাজ নাও করতে পারে। আমাদের যে তিনটি গাড়ি ছিল, সবগুলোই সেদিন ঘটনাস্থলে গেছে। নষ্ট গাড়িটি ঠিক করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর পিছিয়ে পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনার পরবর্তীতে আমরা কি স্টেপ নিচ্ছি, সেটি দেখে আইকা আমাদের আরও এগিয়ে দিতে পারে। দুর্ঘটনা ঘটবেই, আমাদের সেটা যাতে যত কম করা যায়।

অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নতির জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আপডেট করি। আমরা স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করি।

এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।