ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: সিনিয়র সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১০, অক্টোবর ২১, ২০২৫
ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: সিনিয়র সচিব সমন্বয় সভায়

ঢাকা: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অক্টোবর-২০২৫-এর দপ্তর প্রধানদের নিয়ে সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা দিতে হবে। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে হবে। কৃষিজমি সুরক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করতে হবে। অকৃষি জমির সুপরিকল্পিত ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং ভূমি-সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

সিনিয়র সচিব বলেন, দেশপ্রেম এমন এক অনুভূতি, যা একজন নাগরিককে তার দেশের জনগণ ও জন্মভূমির প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতায় আবদ্ধ করে। এটি এক গভীর দায়িত্ববোধ, যা মানুষকে দেশের কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে উদ্বুদ্ধ করে। সবার আগে দেশপ্রেম মানে নিজের স্বার্থ, পদ বা লাভের চেয়ে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নাগরিক কখনও দুর্নীতি, অন্যায় বা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়ায় না। সে দেশের আইন মেনে চলে, নিজের কাজ সৎভাবে সম্পন্ন করে, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখে।  

সালেহ আহমেদ বলেন, দেশপ্রেম প্রকাশ পায় প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজে-নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা, দেশের সম্পদ রক্ষা করা, পরিবেশ ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা এবং দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখা। বর্তমান প্রজন্মের উচিত দেশপ্রেমকে জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করা। প্রযুক্তি, শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই হবে প্রকৃত দেশপ্রেমের পরিচায়ক।  

ভূমি সংস্কার বোর্ডের মহাপরিচালক জানান, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল সরবরাহের জন্য ৫৩টি জেলা থেকে মোটরসাইকেলের চাহিদা পাওয়া গেছে, এখনও ১১টি জেলা বাকি আছে। মোটরসাইকেল সরবরাহের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান সভাপতি।

সভাপতি ভূমি ভবনে অবস্থিত সব দপ্তরের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, প্রত্যেক দপ্তর বা সংস্থার আলাদা লাইব্রেরির পরিবর্তে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে। তিনি বিভিন্ন দপ্তরের লোকবল নিয়োগে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দানের জন্য সাধুবাদ জানান।

এছাড়া ভূমি ভবনের বিভিন্ন কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, ভবনের ভিতরে ও বাহিরে সৌন্দর্যবর্ধন এবং নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা দেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান একে এম সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মাহমুদ হাসান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা।  

জিসিজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।