ঢাকা: সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য আর আদিবাসী ওয়ানগালা জুম নৃত্যের মধ্য দিয়ে চারুকলার বকুলতলায় উদযাপন করা হলো নবান্ন উৎসব। নগরে ফসলের ঘ্রাণ, কৃষক-কৃষাণীর বৈচিত্র্যপূর্ণ অবাধ বিচরণ না থাকলেও প্রতি বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় আয়োজিত হয় এই নবান্ন উৎসব।
এটি হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত বাঙালির প্রাণের এ গ্রামীন নবান্ন উৎসব আজ উঠে এসেছে ইট-পাথরের নগরীতেও।
চারুকলার বকুলতলায় রোববার (১৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই শুরু হয় এবারের নবান্ন উৎসব। ঢাক-ঢোলসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আর মুড়ি-মুড়কির গন্ধে কিছুক্ষণের জন্য হলেও উৎসবপ্রিয় নগরবাসী ফিরে পান গ্রামীণ আবহ।
জাতীয় নবান্নেৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত এ উৎসব শুরু হয় প্রিয়াংকা গোপ’র রাগসঙ্গীত আর ইফতেখার আলম প্রধানের তবলা বাদনের মধ্য দিয়ে। এরপরই লায়লা আফরোজ কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ’র কবিতা আবৃত্তি করেন।
এরপর দলীয় নৃত্য, ফরিদা পারভিন ও মাহাবেদ ঘোষের একক সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, সমবেত পরিবেশনা, আদিবাসী ওয়ানগালা জুম নৃত্যে মুখর হয়ে ওঠে চারুকলার বকুলতলা। সকাল নয়টার দিকে নবান্ন উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতিজন সিরাজুল ইসলাম। এরপর পরিবেশিত হয় রাজশাহীর রঙ্গরস থিয়েটারের আলকাপ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশিত দলীয় সংগীত সমবেতদের মনকে উদ্বেলিত করে তোলে। এর মধ্যে ছিলো- ‘বকুল ফুল বকুল ফুল... সোনা দিয়ে হাত কেন বান্ধায়লে...শালুকের লাজ নাই তাই তো শালুক ফুটে...........’। ‘আবার জমবে মেলা বটতলা হাটতলা... আবার আনবে বয়ে বিশ্বের সম্মান বাংলার কথা আর কবিতা...........’। ‘শোল মাছ খাই না আমি... বোয়াল মাছ না খায় মুই... বোয়াল মাছের লম্বা লম্বা দাঁড়ি.......’ সহ আরও কয়েকটি গানের মূর্ছনা।
নবান্ন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহীর রঙ্গরস থিয়েটারের আলকাপ পরিবেশনের পর চারুকলার বকুলতলা থেকে বের হয় নবান্ন শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি টিএসসি চত্ত্বর ঘুরে আবার বকুলতলায় এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এএসএস/এএসআর