ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে আটক শতাধিক বাংলাদেশি জেলেকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে জেলেদের পরিবার ও নাগরিক সমাজ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের মেহেরবা প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেট ফাউন্ডেশন ও রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবি ও সংগঠক নাহিদ হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ৪ নভেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুরের সাতজন জেলে জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলবশত ভারতীয় অংশে প্রবেশ করেন। পরে বিএসএফ তাদের আটক করে মেঘালয়ের আমপাতি থানায় হস্তান্তর করে। এখনো তারা মুক্তি পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের অদূরে সাগর থেকে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৪০ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এর আগে আটক হওয়া আরও ৮১ জন জেলেরও কোনো খোঁজ মেলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘ভারত ও মিয়ানমার দুদেশেই জেলেরা অবরুদ্ধ। তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখলেও নিরাপত্তা পাচ্ছে না। অথচ নদী ও সাগর ছাড়া তাদের জীবিকার কোনো পথ নেই। ’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার, বিজিবি ও কোস্টগার্ড যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে জেলেদের পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা বলেন, ‘নদী ও সমুদ্রে জীবন বাজি রেখে যারা আমাদের জন্য মাছ ধরে, আজ তারাই সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ। ’
বক্তারা বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের জনগণকেও মানবিক কারণে জেলেদের মুক্তির দাবিতে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আটক জেলেদের পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- মীর জাহাজ আলীর স্ত্রী ববিতা বেগম, বিপ্লব মিয়ার স্ত্রী কাজলী বেগম, বকুল মিয়ার শাশুড়ি, চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনুরা প্রমুখ।
ইএসএস/আরবি