জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ পৃথক কমিশন গঠন করার প্রস্তাব জাতীয় শিক্ষানীতিতেই বিদ্যমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রোববার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে শিক্ষানীতির ৩০০ বিধির বিষয়টি অবহিত করে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যেদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। বাস্তবে এটি হঠাৎ করেই করা হয়নি, জাতীয় শিক্ষানীতিতেই রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতিতেই রয়েছে শিক্ষকদের মান বাড়াতে পিএসসি’র আদলে একটি কমিশন গঠন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা কমিশনের এ প্রস্তাব পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। এই সংসদ সেটি পাস করিয়েছে।
‘অথচ এখন আমার সমালোচনা করা হচ্ছে। সংসদ সদস্যরা বিষয়টি পুরাপুরি না বুঝেই হয়তো সমালোচনা করেছেন। এতে আমি সন্তুষ্ট, কেননা এতে বোঝা যায় তারা শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন। তবে তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি। ’
মন্ত্রী বলেন, আমরা যতোই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়াই, আমাদের শিক্ষকদের মান যদি সেই পর্যায়ে না হয় তাহলে লাভ নেই। শিক্ষকদের মান বাড়াতে না পারলে নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে না। তাই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যদের বাছাই করতে পিএসসি’র আদলে একটি কমিশন গঠন করার পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিধি অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য ৪টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারেন। সেই হিসাবে ১৪শ প্রতিষ্ঠানে তারা সভাপতি রয়েছেন। এর বাইরেও যদি ধরি তাহলে হয়তো তিন হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আমাদের সংসদ সদস্যরা। কিন্তু সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৬ হাজার ৭১টি। তাহলে বাকীগুলোর সভাপতি অন্যরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে একাধিক সদস্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ এমপিদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে দাবি তোলেন। তারা পরিপত্রটি পুনরায় যাচাই করার প্রস্তাব করেন। সেই বিষয়ে জবাব দিতেই শিক্ষামন্ত্রী ৩০০ বিধিতে এ বিবৃতি দেন।
** সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতা অন্তর্ভুক্তির চিন্তা-ভাবনা
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এসএম/এসএস