জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোট হবে। শুধু মেয়র পদে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ রেখে সংসদে বিল উপস্থাপন করা হয়েছে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দিনের সম্পূরক কার্যসূচিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন-২০১৫ উপস্থাপন করেন।
বিলটি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
গত ০২ নভেম্বর অধ্যাদেশ জারির দুই সপ্তাহের মাথায় তা রহিত করে আইনের সংশোধন আনা হলো। সেক্ষেত্রে কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সুযোগটি বাদ দিয়ে শুধু মেয়র পদে দলীয়ভাবে ভোটের সুযোগ রাখা হয়েছে বিলে। এতে কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে ভোটের সুযোগ বহাল থাকলো।
সংসদে উত্থাপনের পর বিলটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে, পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।
সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৫ রহিত হবে।
অধ্যাদেশে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের দল মনোনীত প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিলো। তাতে ছিলো, কোনো পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিল পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দল থেকে মনোনীত বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালের আইনে পৌর মেয়রদের প্রার্থিতার জন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়নের সুযোগ নেই। এ আইনে দল মনোনীত প্রার্থী মনোনয়নের বিধান যুক্ত করা প্রয়োজন।
এজন্য রাজনৈতিক দল মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করে তাদের অংশ নেওয়ার বিধান সংযোজন করা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জন্য নির্বাচন পরিচালনা বিধি প্রণয়নের বিধান সংযোজন করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় সংসদ বসার জন্য অপেক্ষা না করে, এ আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয় ০২ নভেম্বর। ০৮ নভেম্বর সংসদের অষ্টম অধিবেশনের প্রথম দিন তা উপস্থাপন করা হয়।
পরে ০৯ নভেম্বর স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন-২০১৫’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ধারাবাহিকতায় সংশোধিত বিলটি উপস্থাপিত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এসএম/এসএস
** বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পৃথক কমিশন
** সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতা অন্তর্ভুক্তির চিন্তা-ভাবনা