জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সম্প্রতি জাতিসংঘ থেকে দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা শেষে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারার আওতায় এদিন প্রস্তাবটির উপর অনির্ধারিত আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলিসি লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ-২০১৫’ ও ‘আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) আইসিটি টেকসই উন্নয়ন’ পুরস্কার অর্জন করায় তাকে এ ধন্যবাদ জানানো হয়।
আলোচনায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দীন খান বাদল।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশ পাচ্ছে। এতে বিশ্বমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকে তিনি বিশ্ব দরবারে বিশ্ব নন্দিত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তিনি শুধু এই দেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিকামী নেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। যারা তার বিরোধীতা করে বলেন, শেখ হাসিনা গনতন্ত্রকে হত্যা করেছে; তাদের কথা শুনে বিশ্বনেতারা হাসেন। কারণ তাদের চোখের সামনে বাংলাদেশ এখন দৃষ্টান্ত।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এভাবেই এগিয়ে যাবে। যেখানেই যাই সবাই বলে, বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান ঘটেছে। কাজেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।
সম্প্রতি ফ্রান্সের হামলা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্যারিসের ঘটনায় আমরা শোক জানাচ্ছি। দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাল সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কর্মসূচি পরিবর্তন হয়েছে এবং তিনি জঙ্গি তৎপরতা নির্মূলে ফান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত হয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ড্রাইভিং সিটে যিনি থাকেন, তার ওপরই গাড়ির চলাচল নির্ভর করে। এই কাজটিই প্রধানমন্ত্রী করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এসএম/আরএইচ