ঢাকা: ঢাকায় শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গি দমন ও সীমান্ত সংক্রান্ত্র আলোচনা গুরুত্ব পাবে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকটি শুরু হবে। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহর্ষি।
সন্ত্রাস ও সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা ছাড়াও এতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাংলাদেশি হত্যা, ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা ও মাদক চোরাচালানসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বি-পাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। আঞ্চলিক সন্ত্রাসসবাদ দমনে যৌথ কার্যক্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো এতে গুরুত্ব পাবে।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি প্রত্যার্পন চুক্তি ও বিভিন্ন বিষয়ে যৌথ কার্যক্রম রয়েছে, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শফিকুর রহমান বলেন, দু’দেশের সচিব পর্যায়ে এই বৈঠকটি একটি রুটিন বৈঠক। সোমবার (১৬ নভেম্বর) প্রথমদিন দু’দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আর মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে সচিব পর্যায়ের বৈঠক।
প্রথম দিন দু’দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন। আর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এম এ গণপতির ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
দ্বিতীয় দিন সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে ১৮ সদস্য অংশ নেবেন। আর ভারতের পক্ষ থেকে ওই দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কয়েকটি ইস্যুতে প্রস্তাব দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাংলাদেশি হত্যা, ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা, মাদক চোরাচালান, সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি করা ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ, সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা, ছিটমহলের পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশিদের ভারতে অনুপ্রবেশ রোধ।
মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি দমন এবং সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হবে।
এছাড়া ভারতীয় জাল রুপি চোরাচালান বন্ধে ঢাকা-দিল্লীর নেওয়া পদক্ষেপ, ভিসা সহজীকরণ, ছিট মহলে বিদ্যমান সমস্যা নিয়েও আলোচনা হতে পারে এ বৈঠকে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এসএমএ/আরএইচ