ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আখাউড়ার মাদকচিত্র

টোকেন বা লাইনম্যানে ম্যানেজ প্রশাসন!

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
টোকেন বা লাইনম্যানে ম্যানেজ প্রশাসন! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে ফিরে: সীমান্তের ওপার থেকে আসা সর্বনাশা মাদক সারাদেশে পাচারের প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন। রেল যোগাযোগ ভালো হওয়ায় রেলকে ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক বহনেও সুবিধা ব্যাপক।

অভিযোগ রয়েছে, রেল পুলিশের সহযোগিতায়ই চলে এসব কারবার।  

আবার সীমান্তবর্তী আখাউড়ার গ্রামগুলোর ঘরে ঘরে চলছে মাদকের অবাধ বিকিকিনি। তাইতো এখানে যারা আসেন তাদের বেশিরভাই মাদক খেতে আসেন। এক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রেনকে। বিনা টিকিটে মাদক সেবনের এতো বড় স্পট আর এই তল্লাটে নেই।

এলাকার লোকজনের অভিযোগ, এক শ্রেণীর অসাধু প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অসাধু সদস্যদের সহায়তায় আখাউড়া রেলস্টেশনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদক সিন্ডিকেট। জিআরপি পুলিশ, ডিবি পুলিশ,  রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিবির কয়েকজন দুর্নীতিবাজ সদস্যের নামে টোকেনের মাধ্যমে এই সিন্ডিকেট মাদক কারবারিদের কাছ থেকে নিয়মিত বখরা তুলছে।

বখরা তোলার কাজটি যারা করেন, স্থানীয়ভাবে তারা পরিচিত ‘লাইনম্যান’ হিসেবে। বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ম্যানেজ করার দায়িত্বে থাকা এসব লাইনম্যানরা সিন্ডিকেট সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকেন। টোকেনের বিনিময়ে ওঠা টাকা তারা ভাগ বাটোয়ারা করেন।
 
অনুসন্ধানে অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু অসাধু সদস্য বিশেষ ‘টোকেন’ এর মাধ্যমে মাদক পাচারে সহযোগিতা করছেন। আখাউড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত মাদক নিতে চারটি বিশেষ চিহ্ন সংবলিত ‘টোকেন’ দেওয়া হয়। বিনিময়ে মাদকের পরিমাণ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হয়। কেবল ট্রেনে মাদক পাচার করতে ‘মোরগ’, ‘ফুটবল’, ‘মাছ’, ‘গোলাপ ফুল’- এ চারটি প্রতীক সংবলিত টোকেন ব্যবহার করা হয়। ছোট কাগজ সম্বলিত টোকেনের এক পিঠে দেওয়া থাকে প্রতীকের সিল আর অন্য পিঠে মাদকের পরিমাণ।

চোরাকারবারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখাউড়া থেকে ভৈরবে যেতে-‘মাছ’ প্রতীকের সিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে ‘গোলাপফুল’, নরসিংদী যেতে ‘ফুটবল’ এবং কমলাপুর (ঢাকা) যেতে ‘মোরগ’ প্রতীকের সিল ব্যবহার করা হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সংখ্যক সদস্য এসব ‘টোকেন’ দেখলে মাদক পাচারকারীদের নির্বিঘ্নে যেতে সহায়তা করেন।
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চোরাকারবারিরা জানান, প্রতি বোতল ফেনসিডিল আখাউড়া থেকে ঢাকায় নিতে খরচ হয় ৪৫ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি গাঁজা পরিবহনের খরচ দিতে হয় ৮শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা। ওই চারটি টোকেন নেওয়ার সময়ই তারা টাকা দিয়ে থাকেন।
 
অভিযোগ রয়েছে, এক সময় সারা আখাউড়া থানার লাইন নিয়ন্ত্রণ করতেন আমিন চৌধুরী ও নূর আলম। এজন্য তারা আখাউড়া থানাকে প্রতি মাসে মাসোহারা দিতেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। থানার সদ্য বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম এসে প্রথমে এ প্রথা বন্ধ করলেও পরে তা ভিন্ন নামে চালু করেন।
 
এ সময় আখাউড়া থানার একজন কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ভাণ্ডারি (যিনি আগে আখাউড়া জিআরপি থানায় দীর্ঘদিন মাসোহারা উঠাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে) উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে লাইনম্যান নিয়োগ দেন। ওই কনস্টেবলের মাধ্যমে বর্তমানে থানার মাসোহারার পরিমাণ বেড়েছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ।
 
অনুসন্ধানে আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে, আখাউড়া থানা পুলিশের নিয়োজিত লাইনম্যান হিসেবে বর্তমানে কাজ করছেন উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য হান্নান মেম্বার, হামিদ মিয়া, আবদুল মান্নান (ছোট কুড়িপাইকা), আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ এলাকার সেজো মিয়া, সেলিম ভূঁইয়া ও মনু মেম্বার।

অন্যদিকে উপজেলার মোগড়া ও মনিঅন্ধ ইউনিয়ন এলাকায় এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন মোগড়া এলাকার লিয়াকত আলী।
 
আখাউড়া পৌর শহর ও সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২ শতাধিক খুচরা ও পাইকারি মাদক বিক্রির স্পট রয়েছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, থানা পুলিশ মাদক স্পটের মালিকদের (চোরাকারবারি)  ধর-পাকড় না করে কেবল বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদকসেবীদের আটক করে অর্থ বাণিজ্য করে ছেড়ে দেয়। প্রতিদিন বিকালে ৩টার পর থেকে ৪/৫টি দলে বিভক্ত পুলিশের টিম বের হয়ে মাদকসেবীদের আটক করার নামে অর্থ বাণিজ্য করে থাকে। কাউকে পথে কাউকে থানায় এনে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে আবার রাতের আঁধারে ছেড়েও দেন অসাধু পুলিশ সদস্যরা। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত আখাউড়া থানাহাজত ভরে যায় আটককৃত মাদকসেবীতে। আর রাত গভীর হওয়ার আগেই হাজতখানা খালি হয়ে যায়।
 
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আখাউড়া থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মাদকের প্রতি তার জিরো টলারেন্স। যদিও থানা কম্পাউন্ডর মধ্যেই পড়ে থাকতে দেখা গেছে মাদকের খালি বোতল।
 
ওসি বলেন, আখাউড়ায় কোনো মাদক নেই। পুলিশেরও কোনো লাইনম্যান নেই।
 
তবে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি ওসি মোশারফের মতো উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা এ জেলাকে মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহার করেন। আখাউড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মাদক রুট। তবে অবস্থার উন্নতি ঘটছে। লাইনম্যানের ঘটনাও হয়তো পুরনো। এখন এমন কোনো ব্যবস্থা আছে বলে মনে হয় না। কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতির আরো উন্নতি ঘটবে।

রেলওয়ে জংশনকেন্দ্রিক সিন্ডিকেট
অনুসন্ধানে অভিযোগ পাওয়া গেছে, আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে টোকেনের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে ৮টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আখাউড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রতি বোতল ফেনসিডিলে খরচ হয় ৬২ টাকা, প্রতি কেজি গাঁজায় ৩৫০ টাকা। চোরাকারবারিরা মাদক নিয়ে ট্রেনে ওঠার আগেই আখাউড়া জংশনে অবস্থানরত লাইনম্যানদের কাছ থেকে টোকেন নিয়ে যেতে হয়। আর টোকেন দেখালেই পাচারকারীরা ট্রেনে টহলরত পুলিশের কাছ থেকে পার পেয়ে নিরাপদে পৌঁছাতে পারেন।
 
এ টোকেন চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ব্রাক্ষণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, ভৈরববাজার রেলওয়ে থানা, বিজিবি অবকাশ ক্যাম্প, বিজিবি আখাউড়া কোম্পানি হেডকোয়ার্টার, আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আখাউড়া রেলওয়ে গোয়েন্দা বাহিনী এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্রাক্ষণবাড়িয়া সার্কেলের কিছু কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে।
 
অভিযোগে প্রকাশ, আখাউড়া রেলওয়ে থানা, ভৈরববাজার রেলওয়ে থানা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, বিজিবি অবকাশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীর লাইনম্যান জয়নাল আবেদীন। জয়নাল ৬টি সংস্থাকে প্রতি মাসে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা মাসোহারা দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিজিবি আখাউড়া কোম্পানি হেডকোয়ার্টারের নামে টাকা তোলেন নূরপুর গ্রামের নোওয়াব ও ফরিদ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নামে টাকা তোলেন লাইনম্যান পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার বাইট্টা জাহাঙ্গীর।
 
লাইনম্যানের মাধ্যমে টাকা তোলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিবি-১২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এটা একটি পুরনো অভিযোগ। এ যুগ এখন আর নেই। বিজিবি’র কেউ মাদকের সঙ্গে জড়িত হলে তাকে বাড়ি চলে যেতে হবে। আমরা যেহেতু মাদককে ছাড়ই দেই না, তাই আমাদের লাইনম্যান থাকার দরকার নেই। কেউ এভাবে বিজিবি’র নাম ভাঙ্গালে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিজিবি‘র কেউ মাদকের ব্যবসা করেন না। ব্যবসা করে স্থানীয়রা। তারা ঠিক হলে, সব বাহিনী ও সংস্থা ঠিক রাস্তায় থাকলে মাদক প্রতিরোধ করা যাবে।
 
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)
অভিযোগ রয়েছে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাসোহারা ইজারা নিয়েছেন আখাউড়া পৌরসভা সদর দক্ষিণ ইউনিয়নঘেঁষা সীমান্ত পর্যন্ত ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মাসোহারা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন উপজেলার নুরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম,  আবুল বাশার ও হামদু মিয়া। আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন এলাকায় মাদকের টোল আদায় করেন জেহাদ মিয়া। মোগড়া, মনিঅন্ধ, ধরখার এলাকায় মাদকের টোকেন দেন মোগড়া বাজারের বাসিন্দা মাসুকুর রহমান মাসুক। ডিবি পুলিশকে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা মাসোহারার ভিত্তিতে এখানে মাদকের টোল আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
 
তবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈনুর রহমান ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের তো সীমান্তে যাওয়ারই অনুমতি নেই। আর লাইনম্যান থাকারও প্রশ্ন নেই।
 
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্রাক্ষণবাড়িয়া সার্কেল
দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পাওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে ভয়াবহ অভিযোগ।

স্থানীয়দের এ সংস্থাটি সম্পর্কে মূল্যায়ন, ‘রক্ষকই ভক্ষক’। তাদের অভিযানের ধরনটাও নাকি ভিন্ন! অভিযানের মাধ্যমে চোরাকারবারিকে বশ করা, আয়ত্বে আনার জন্য বিভিন্ন উপজেলায় তাদেরও রয়েছে লাইনম্যান। আখাউড়া পৌরসভা, দক্ষিণ ইউনিয়নঘেষা সীমান্তের গ্রামগুলোর পাইকারি-খুচরা মাদক চোরাকারবারিদের কাছ থেকে মাদকের টোল আদায় করেন আখাউড়া পৌর শহরের নারায়ণপুর গ্রামের আলমগীর। অন্যদিকে আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘেষা ১০/১২টি গ্রামের মাদকের টোল আদায় করেন থানা পুলিশের লাইনম্যান সেজো মিয়া ওরফে সেজো। মোগড়া মনিঅন্ধ ও ধরখার এলাকার মাসোহারা তোলেন জেলা ডিবি পুলিশের লাইনম্যান মাসুক মিয়া ও ছোটন মিয়া।

যে সকল চোরাকারবারি এসব লাইনম্যানদের মাসোহারা দেয় না, অভিযানের মাধ্যমে তাদের আটক করে মাসোহারার আয়ত্বে নিয়ে আসা হয় বলে একাধিক মাদক কারবারি বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া আছে আটককৃত মাদক কারবারিদের অর্থের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া, মিথ্যা মামলা দেওয়া এবং মাদক ব্যবসা করতে বাধ্য করার মতো অভিযোগও।
 
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান অভিযোগ সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, আমি অল্প কয়েকদিন হলো এখানে এসেছি। এ বিষয়ে আগে শুনেছি। তবে এখানে আসার পর এখনো তেমন কিছু আমার চোখে পড়েনি। আমার জানা মতে, মাদকের এখানে কোনো লাইনম্যান নেই।

মাদকের স্পটগুলো
আখাউড়া পৌর শহরের নারায়ণপুর, দুর্গাপুর, টানপাড়া, মসজিদপাড়া, রেলওয়ে পূর্ব কলোনি, ৬নং ওয়ার্ডের রেলওয়ে বস্তি কুলিবাগান, দেবগ্রাম, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ, রাজাপুর, আজমপুর, চাঁনপুর, আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর, কল্যাণপুর ছোট ও বড় কুড়িপাইকা, আনোয়ারপুর, হিরাপুর, মোগড়া ইউনিয়নের সেনারবাদী, বাউতলা, ছয়ঘড়িয়া, মনিঅন্ধ ইউনিয়নের ছোট গাঙ্গাইল, লৌহঘর, খারকুট, সিমনগর, সুতারমুড়া, মনিঅন্ধ, মাঝিগাছা, নোয়ামোড়া, ধরখার ইউনিয়নে ধরখার বাসস্ট্যান্ড, তারা মার্কেট ও তন্তুর।
 
যেসব পয়েন্ট দিয়ে মাদক আসছে
আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে ফেনসিডিল, ফেনসিডিল জাতীয় স্কপ সিরাপ, রিকোডে, কডোকপ, গাঁজা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিয়ার ও মদ, প্যাথিড্রিন ইনজেকশন ইত্যাদি। এসব মাদকের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ভারতীয় খাসিয়া উপজাতির তৈরি করা ছোট ও বড় আকারের নকল ইয়াবা ট্যাবলেট। উপজেলার সিমনগর, ইটনা, জয়নগর, বাউতলা, সেনারবাদী, ধলেশ্বর, হিরাপুর, কুড়িপাইকা, আনোয়ারপুর, কল্যাণপুর, চাঁনপুর, রাজাপুর, আজমপুর পয়েন্ট দিয়ে এসব মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
 
** ওপার থেকে আসে, এপারের ঘরে ঘরে বিকোয়

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।