ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধূমপায়ী বাবার বীর্যে ক্যান্সার নিয়েই শিশুর জন্ম

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
ধূমপায়ী বাবার বীর্যে ক্যান্সার নিয়েই শিশুর জন্ম

ধূমপায়ী বাবাদের জন্য এই খবর উদ্বেগের হবে বটে তবে শিক্ষার তো অবশ্যই। যারা ধূমপান করেন তাদের জন্য বার্তা হচ্ছে আপনি কিন্তু আপনার ছোট্ট সন্তানটিকে ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন।



ভারতের আইইএমএস এক গবেষণায় দেখিয়েছে যে পুরুষরা ধূমপান করেন কিংবা তামাক সেবন করেন কেবল তারাই নন, তাদের শিশুরাও ক্যানসার আক্রান্ত হতে পারে। এর কারণ তামাকে যে মাইক্রলেমেন্ট রয়েছে তা অক্সিডেটিভ চাপ সৃষ্টি করতে পারে যা শুক্রানুর প্রজনন প্রক্রিয়ায় সংক্রমিত হয়। এতে সন্তানটি জন্ম নিতে পারে ক্যান্সার নিয়ে।

এছাড়া, ধূমপায়ী পুরুষের প্রজনন ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক রিমা দাদা বলেন, পুরুষের বীর্যে খুব সামান্যই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে আর এর ডিএনএ গঠন প্রক্রিয়াও ভিন্ন। ধূমপান এই ডিএনএ গঠনকে আরও নাজুক করে দেয়।

এশিয়ান পাসিফিক জার্নাল অফ ক্যান্সার প্রকাশিত নিবন্ধে এই সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।  

গবেষকরা চোখের ক্যান্সারে ভুগছে এমন ৭৭টি শিশুর বাবাদের এবং ৫৩ টি সুস্থ শিশুর বাবাদের বীর্য সংগ্রহ করে এই পরীক্ষা চালিয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন ধূমপায়ী, ৩১ জন তামাক সেবী আর ৪১ জনের উভয় ধরনের বদভ্যাস রয়েছে। ৩৩ জন কোনও ধরনের তামাকে আসক্ত নন।

ড. রিমা দাদা বলেন, আমরা দেখলাম ধূমপায়ী ও তামাক সেবীদের বীর্যের মান অত্যন্ত খারাপ। আর যে শিশুদের চোখের ক্যান্সার রয়েছে তাদের বাবাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভয়াবহ ও অনিরাময় যোগ্য।

অপর গবেষক ভাবনা চাওলা জানালেন ভারতীয় শিশুদের চোখের ক্যান্সার থেকে রেটিনোব্লাসটমা হওয়ার ভাগ খুব বেশি। এটিও প্রজনন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সংক্রমিত হতে পারে। পরিবারের মধ্যে এর বিস্তার ভয়াবহ রূপ নেয়।

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে আমরা এই রোগের ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখতে পেয়েছি। আর তা থেকেই ধূমপানের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। অক্সিডেটিভ চাপ তৈরির অন্যতম কারণ হিসেবে ধূমপান আগে থেকেই চিহ্নিত।

ডঃ চাওলা বলেন, ধূমপান অবশ্যই পরিহার করতে হবে কারণ এতে কেবল ব্যক্তির নিজের ক্ষতি, তাই নয়, পরবর্তী প্রজন্মও বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে।
যেই বাবারা ধূমপান করছেন তাদের বদ অভ্যাসটি ছেড়ে যোগ অভ্যাস করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ডঃ রিমা দাদা জানালেন, এতে ওই বাবাদের শরীর ও বীর্যের গঠন ফিরছে এবং তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও ক্ষতিকর থাকছেন না।

বাংলাদেশ সময় ১০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।