ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে ৬৫ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে এ বিষয়ে করা লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আদালতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজহারুল্লাহ ভূঁইয়া।
এক রিটের শুনানি শেষে গত ১৪ জানুয়ারি ওই রায় দেন হাইকোর্ট।
২০০৬ সালের ১২ জুলাই এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৬৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই সময় বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়নি।
এরপর ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে সব চাকরিজীবীর অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। সচিব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর ও সাধারণ চাকরিজীবীদের বয়সসীমা ৬০ বছরে উন্নীত করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়।
কিন্তু কোনো ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই তা ফেরত আসে।
এরপর ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ‘গণকর্মচারী অবসর আইন ১৯৭৪’ সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়।
এদিকে ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন শিকদারের এক রিটের প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর করা হয়।
এছাড়া ২০০৬ সালের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করতে আরেকটি রিট করেন জামাল উদ্দিন। এ রিটের শুনানি শেষে গত ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ৬০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে সরকার। সোমবার সর্বোচ্চ আদালত সরকারের এ আবেদন খারিজ করে দেন বলে জানান আজহারুল্লাহ ভূঁইয়া। এখন রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর বয়স করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
ইএস/এএসআর