জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ২০১৮ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে সরকার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান, শিক্ষানীতি ২০১০’র আলোকে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের জন্য ২০১৩ সালে ৪৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি চালু করা হয়েছে এবং এ সব বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে আরও ১৭৫টি স্কুল ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে।
‘বাকি বিদ্যালয়সমূহ ২০১৮ সাল নাগাদ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে সরকার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে’- বলেও যোগ করেন তিনি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান, দেশের ছিন্নমূল, শ্রমজীবী শিশু-কিশোরদের পেশাগত দক্ষতার জন্য কারিগরি শিক্ষা ও পুনর্বাসনে ১৯৮৯ সালে ৭৬টি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ শুরু হয়েছে। তখন এর নাম ছিল পথকলি ট্রাস্ট।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে (২০১৩-১৭) ১৪৮টি উপজেলার ১৯ হাজার ২৬৮টি আনন্দ স্কুলে ছয় লাখ ২৪ হাজার ১০৪ জন শিক্ষার্থীর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা শহরের বস্তি এলাকায় পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকায় বিভিন্নস্থানে কর্মরত ১৫শ’ গৃহকর্মী শিশুর শিক্ষাদান ব্যবস্থার প্রকল্পের পাইলটিং পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া আনন্দ স্কুল থেকে নূন্যতম তৃতীয় শ্রেণি উর্ত্তীণ ১৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ট্রেড কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এসএম/আইএ
** মূল নকশা হাতে পেলেই কবরসহ স্থাপনা সরানো হবে
** আমি টু ইন ওয়ান